সোমবার , এপ্রিল ২৯ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / দিনাজপুর / হিলিতে দুই দিনব্যাপি পিঠা উৎসবের উদ্বোধন

হিলিতে দুই দিনব্যাপি পিঠা উৎসবের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক,হিলি (দিনাজপুর):
তৃতীয় বারের মতো দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। পিঠার নানান স্বাদ নিতে দুই দিনের এই পিঠা উৎসবে ছিলো সব বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভীড়। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পিঠার সাথে পরিচয় করাতেই এমন আয়োজন বলছেন আয়োজকেরা।


শীত কিংবা গ্রীষ্ম মানেই বাঙ্গালির ঘরে ঘরে মুখরোচক পিঠাপুলির আয়োজন হয়ে থাকে। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের অনেক ঐতিহ্য। বর্তমানে নানা ধরনের ফাস্ট ফুড খাবারের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক পিঠাপুলি। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য নানান পিঠাপুলির সাথে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতেই তৃতীয় বারের মতো দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি উপজেলা ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুলে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী পিঠা উৎসব।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুলের আয়োজনে স্কুল চত্বরে ফিতা কেটে দুই দিনব্যাপি পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাওছার রহমান।
উদ্বোধনের পর থেকেই পিঠা উৎসবে ছিলো নানান বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভীড়,স্টল গুলোতে তারা নিচ্ছেন পিঠাপুলির স্বাদ।

বিদ্যালয়ে মাঠে প্রতিটি স্টলে ধান সেমাই, ভাপা, পুলি দুধ, পুলি,পাটিসাপটা, ঝিনুক পুলি, জামাই সোহাগী, গোলাপ, কানমুচুরি, পুডিং, পায়রা, তেল পিঠা, দুধ চিতাই, মুঠা পিঠা, ক্ষীর, রসগোল্লা, কেক, গোলাপ ফুল, তেলেভাজা রসপিঠা, রোল পিঠা, লাভ পিঠা, শিম ফুল পিঠা, ডালবড়া, নারিকেল পিঠা, নকশি পিঠা, নয়নতারা পিঠাসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক পিঠার পসরা।ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুল মাঠে ৯ টি স্টলে অর্ধ শতাধিক প্রকারের পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা। এমন আয়োজনে খুশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা।

হারিয়ে যাওয়া পিঠাপুলির সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতেই এমন আয়োজন করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় অভিভাবক ও সুধি মহল।
হাকিমপুর ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুল এর পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,আমাদের সমাজ থেকে পিঠা হারিয়ে যাচ্ছে, পিঠা কি এবং কতো ধরনের পিঠা আছে তা তারা জানেইনা। এখানে ৯ টি স্টলে ৫২ আইটেমের পিঠা তৈরী করা হয়েছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েরা এবং স্থানীয় অভিভাবকরা এই পিঠার সাথে পরিচিত হচ্ছে এবং এর স্বাদ গ্রহন করতে পারছেন। তৃতীয় বারে এই আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি আগামীতে আরও বড় আয়োজনে করা হবে। এতে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া পিঠার ঐতিহ্য ও স্বাদ ফিরে আসবে।

আরও দেখুন

তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি দূর করতে নাটোরে ইস্তিসকার নামাজ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি দূর করতে নাটোরে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। …