নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / “সুফলা নওগাঁ” সমবায়ভিত্তিক মিশ্র ফল বাগানে সাফলতার দৃষ্টান্ত

“সুফলা নওগাঁ” সমবায়ভিত্তিক মিশ্র ফল বাগানে সাফলতার দৃষ্টান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁর রাণীনগরে সমবায় ভিত্তিক মিশ্র ফল চাষে সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট। বর্তমানে সুফলা নওগাঁ প্রজেক্টের বাগানগুলোতে ভিয়েতনামী বারোমাসি মাল্টা, বারোমাসি কাটিমন আম ও বারি-১, বারি-১১ জাতের আম, বারোমাসি চায়না-৩ জাতের লেবু, ড্রাগন ফল ও কমলা চাষ হচ্ছে। মিশ্র ফল বাগান চাষে সফলতার এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট। এছাড়াও বীজবিহীন বারোমাসি চায়না-৩ জাতের লেবুর চাষ আরো এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে উপজেলার কৃষকদের মাঝে।

সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নে চকাদিন এলাকায় স্থানীয় কিছু বেকার যুবকদের নিয়ে প্রজেক্টের পরিচালক ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব রতন ২০১৯ সালে ২একর জমি লিজ নিয়ে সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্টটি শুরু করেন। তার কৃষিবান্ধব নিরলস পরিশ্রম, মেধা ও মননে আর পিছু ফিরে দেখতে হয়নি। সুফলা নওগাঁর দেখাদেখি নতুন করে সৃষ্টি হচ্ছে মিশ্র পদ্ধতিতে বারোমাসি বিভিন্ন ফলের চাষ। উপজেলার প্রায় ১০০একর জমিতে মিশ্র পদ্ধতিতে বারোমাসি বিভিন্ন ফলের চাষ সম্প্রসারিত হয়েছে। যার ফলে উপজেলার প্রায় ২৫০জন কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই প্রজেক্ট অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

প্রজেক্টের পরিচালক আহসান হাবিব রতন বলেন, বর্তমানে প্রজেক্টে ২একর জমিতে আদর্শ মিশ্র ফল বাগানে বারি-১ ও ভিয়েতনামী বারোমাসি মাল্টা, বারোমাসি কাটিমন আম ও বারি-১১ জাতের আম, বারোমাসি চায়না-৩ জাতের লেবু, ড্রাগন ফল ও কমলা চাষ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমরা বাগান থেকে ফল সংগ্রহও শুরু করেছি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা এসে চারা সংগ্রহ করছেন ফলে নতুন নতুন বাগান সৃষ্টি হচ্ছে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে আশপাশের প্রায় দুই শতাধিক মানুষের। শুধু রাণীনগর উপজেলাই নয় আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে সুফলা নওগাঁর সফলতার গল্প। যার কারণে প্রতিদিনই সম্প্রসারিত হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল জাতের মিশ্র ফল বাগানগুলো।

সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা মিঠু হাসান বলেন, সুফলা নওগাঁর সফলতা দেখে আমিও ৩একর জমিতে মিশ্র ফল বাগান করেছি এবং বাগানগুলো থেকে ফল পেতে শুরু করেছি। এমন উদ্যোগের জন্য সুফলা নওগাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ শহিদুল ইসলাম বলেন, সুফলা’র গঠনমূলক সম্মিলিত কৃষি উদ্যোগের সফলতায় বিভিন্ন শ্রেণীর কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আগ্রহী কৃষকদের বাগান সৃজনে আমরা আধুনিক কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি। আমরা আশা করছি এক সময় এই অঞ্চল উচ্চ মূল্যের ফল বাগানে সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট-এর এমন দৃষ্টান্ত আমাদের আধুনিক কৃষিকে নতুন এক উচ্চতায় বিকশিত করবে।

আরও দেখুন

অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রতীক পেলেন ফরিদা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:উচ্চ আদালতের আদেশে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন …