বৃহস্পতিবার , মে ৯ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / রাণীনগরে মাত্র ২৫ গজ ভাঙ্গা রাস্তার জন্য তিন মাস ধরে দূর্ভোগে গ্রামবাসি

রাণীনগরে মাত্র ২৫ গজ ভাঙ্গা রাস্তার জন্য তিন মাস ধরে দূর্ভোগে গ্রামবাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর (নওগাঁ):
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের দামুয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ইট সোলিং মাত্র ২৫ গজ রাস্তা ভেঙ্গে যান চলাচল সম্পন্ন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গত তিন মাস ধরে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রামবাসি।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, দামুয়া গ্রামে প্রায় দুই হাজার মানুষ বসবাস করেন। আবাদপুকুর-কালগিঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে এই গ্রামের মধ্য দিয়ে একমাত্র সড়ক বয়ে গেছে। প্রায় ১৫ বছর আগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইটসোলিং করা হয় রাস্তাটি। এই রাস্তা দিয়ে গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ চলাচল ও কৃষি পন্যসহ বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করেন। চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তার ইট উঠে গিয়ে প্রায় ২৫ গজ রাস্তার বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে একমাত্র পায়ে হেটে চলাচল ছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি মটরসাইকেল পর্যন্ত চলাচল করতে পারছেনা। ফলে গ্রামের ভিতর থেকে ধান, চালসহ বিভিন্ন কৃষিপন্য ও অন্যান্ন মালামাল পরিবহন করতে পারছেনা গ্রামবাসি। এতে চরম দূর্ভোগে পরেছেন গ্রামের লোকজন।

ওই গ্রামের স্থানীয় মেম্বার আজিজার রহমান বলেন, রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়াই গ্রামের লোকজনের দূর্ভোগের শেষ নেই। যে কোন মালা মাল ওই পর্যন্ত এনে মাথায় বা কাঁধে করে পরিবহন করতে হচ্ছে। আমি নিজেও কাঁধে করে মালা মাল পরিবহন করছি। অনেক বার চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেও কাজ করাতে পারিনি। অথচ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় তিনি ভাঙ্গা ইট বা রাবিস দিয়ে আপাতত মেরামত করতে পারেন।

গ্রামের বাসিন্দা আফছার হোসেন,আব্দুল জলিলসহ অনেকেই জানান, রাস্তাটির এমন বেহাল অবস্থায় দীর্ঘ প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কৃষি পন্য পরিবহন করতে পারছেনা গ্রামের লোকজন। রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি আমি দেখেছি। বর্তমানে বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসার সাথে সাথেই রাস্তাটি মেরামত করা হবে।

আরও দেখুন

অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রতীক পেলেন ফরিদা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:উচ্চ আদালতের আদেশে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন …