বৃহস্পতিবার , মে ৯ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় হচ্ছে এমআরটি পুলিশ ইউনিট

মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় হচ্ছে এমআরটি পুলিশ ইউনিট

নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে বিশেষ পুলিশ ইউনিট। মেট্রোরেলের যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করেন তারা। এবার বাংলাদেশেও মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য গঠিত হচ্ছে আলাদা বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট।

মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে এটিএম বুথ, ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ও দোকান থাকবে। প্রতি মুহূর্তে যাতায়াত করবে কয়েক হাজার যাত্রী। এজন্য প্রত্যেকটি স্টেশনে পুলিশ ফাঁড়ির প্রস্তাব করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকায় অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে পাঁচটি মেট্রোরেলের সমন্বয়ে ডিএমটিসিএলের মাধ্যমে কার্যক্রম চলছে। এর আওতায় মোট ১২৮ দশমিক ৭৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা রয়েছে। ডিএমটিসিএলের এ যোগাযোগ নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল ও ৫৩টি পাতাল স্টেশনসহ মোট ১০৪টি স্টেশন তৈরি হবে। বিশাল এ স্থাপনা ও যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের হাতে দিতে এ বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠন করা হচ্ছে।

এ সাংগঠনিক কাঠামো গঠনে প্রস্তাবনা তৈরির দায়িত্বে আছেন পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ওঅ্যান্ডএম) এসএম মোস্তাক আহমেদ।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট বাস্তবায়নে প্রস্তাবনাটি রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। আশা করছি, চলতি মাসেই এটি অনুমোদন হবে। অনুমোদনের পরই দ্রুত মেট্রোরেল পুলিশের কাজ শুরু হবে। এ ইউনিটের সদস্যদের জন্য থাকবে আলাদা ইউনিফর্ম। তবে ইউনিফর্মটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে প্রস্তাবনাটি বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে এটি চালু হবে। মেট্রোরেল চালুর আগেই মেট্রোরেল পুলিশ চালু হয়ে যাবে।

অন্যদিকে, উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে মেট্রোরেল। গত ১২ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় আগারগাঁও পৌঁছায় স্বপ্নের মেট্রোরেল। সেখানে ৪০ মিনিট অবস্থান করে আবার উত্তরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।

১২ ডিসেম্বর সকালে উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে মেট্রোরেল। এর আগে রেললাইন, বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ও স্টেশনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়। পারফরম্যান্স টেস্টের অংশ হিসেবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার গতিতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে চলাচল করছে মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার। আগামী ডিসেম্বরে এ অংশে বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছে ডিএমটিসিএল।

মেট্রোরেলের প্রতি কোচে ৪৮ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। মাঝখানের চারটি কোচ হচ্ছে মোটরকার। এতে বসার ব্যবস্থা আছে ৫৪ জনের। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবেন ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবেন। দাঁড়ানো যাত্রীদের ধরার জন্য ওপরে হাতল এবং স্থানে স্থানে খুঁটি আছে। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে এবং দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন।

দিয়াবাড়ির ডিপো থেকে ধাপে ধাপে ট্র্যাকে উঠেছে মেট্রোর একেকটি ট্রেন সেট। শুরুটা হয়েছিল ডিপো থেকে স্টেশন এক পর্যন্ত। এরপর স্টেশন দুই, তিন হয়ে পল্লবী। এরই মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ট্রায়াল হয়ে গেছে। মেট্রোরেল পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত। সংকেত, যোগাযোগসহ ১৭ থেকে ১৮টি ব্যবস্থা ট্রেন চলার ক্ষেত্রে কাজ করে।

উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭২ শতাংশ। তবে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা।

আরও দেখুন

অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রতীক পেলেন ফরিদা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:উচ্চ আদালতের আদেশে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন …