বৃহস্পতিবার , মে ৯ ২০২৪
নীড় পাতা / উন্নয়ন বার্তা / বাংলাদেশে হাসপাতাল স্থাপনে আগ্রহী চীন, সৌদি আরব ও তুরস্ক

বাংলাদেশে হাসপাতাল স্থাপনে আগ্রহী চীন, সৌদি আরব ও তুরস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের আদলে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরি করতে চায় তিন দেশ। তুরস্ক, চীন ও সৌদি আরব আলাদাভাবে হাসপাতাল তৈরির আগ্রহের কথা জানিয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এ জন্য ঢাকার আশপাশে জমি চেয়েছে তারা।ঢাকার আশপাশে জমি না পেলে বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরেও যেতে রাজি আছে চীন। অন্যদিকে, তুরস্ক ও সৌদি আরব ঢাকার আশপাশে জায়গা চেয়েছে।তিন দেশই তাদের প্রস্তাবে বলেছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর যত মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এ দেশে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছে তিন দেশ। করোনার সময় দেশগুলোর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, তিন দেশের হাসপাতাল করার প্রস্তাব নিয়েই এখন যাচাই-বাছাই চলছে।তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় একটি হাসপাতাল তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছে।বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দেশটি বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়। তারই ধারাবাহিকতায় একটি হাসপাতাল তৈরির আগ্রহ দেখিয়েছে। আর সৌদি আরবের ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন ও চীনের চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএমইসি) আলাদাভাবে হাসপাতাল করার প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবগুলো আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’চীনের সিএমইসির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভাগ বা জেলা পর্যায়ে একটি করে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল করতে চায় তারা। সব মিলিয়ে তারা মোট ৫০ হাজার শয্যার হাসপাতাল করতে চায় বাংলাদেশে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ ও থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের আদলে হাসপাতাল করার আগ্রহ সিএমইসির। থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের হাসপাতালের তুলনায় তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা খরচ অনেক কম হবে বলেও প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হয়েছে।চীনের ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত হাসপাতাল হবে পুরোপুরি অনলাইননির্ভর। হাসপাতালে ৭০ শতাংশ চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে বাংলাদেশ থেকে। বাকি ৩০ শতাংশ বাংলাদেশের বাইরে থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণে গড়ে তোলা হবে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। হাসপাতাল নির্মাণের আগে সব ধরনের সমীক্ষা করবে সিএমইসি। তাদের মতে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে নতুন বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল তৈরি হলে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে বলেও মনে করে সিএমইসি।সিএমইসির এ প্রস্তাব নিয়ে গত ২০ অক্টোবর সচিবালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘চীনের সিএমইসির প্রস্তাব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেটি নিয়ে আমাদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার আছে। আমরা তাদের কাছ থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য নেব।’এদিকে সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস বলেন, চিকিৎসা খাতে প্রতিবছর দেশ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো বিদেশে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবা ভালো হলে এই টাকা দেশেই থাকত।দেশি-বিদেশি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর আড়াই থেকে তিন লাখ রোগী বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায়। এর মধ্যে বড় অংশই যায় ভারতে।সূত্রঃ প্রথম আলো

আরও দেখুন

অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রতীক পেলেন ফরিদা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:উচ্চ আদালতের আদেশে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন …