নীড় পাতা / আইন-আদালত / ফাঁদ পেতেও ফায়দা পেলোনা ঊষা

ফাঁদ পেতেও ফায়দা পেলোনা ঊষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
পরিচয় গোপন করে নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথিত স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন ঢাকার মেয়ে উষ্ণ খাঁন উষা। প্রতারনার অভিযোগে লালপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (৯ জুন) আদালতে প্রেরণ করেছেন।

লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার শালেশ্বর গ্রামের রহমত আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩০) রাজধানী ঢাকায় উবারে মোটরসাইকেল চালানোর সময় ঢাকার মেয়ে উষ্ণ খাঁন ওরফে উষার (৩০) সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। উষা তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা এক সাথে ২৫ দিনের মতো অবস্থান করে। ওই সময় উষা তার নিজের সন্তান উষান (১৩) কে নিজের ভাই বলে পরিচয় দেয়। এর পর উষা হাফিজুলকে ঢাকায় বিয়ে না করে নাটোরের লালপুরে শালেশ্বর গ্রামে হাফিজুলের বাড়ীতে আসে। ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে নাটোর কোর্টে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর করে তাৎক্ষনিক নগদ ২ লক্ষ টাকা নেয়। হাফিজুল উষাকে বিয়ের কাবিন করার কথা বললে সে ঢাকায় গিয়ে কাবিন করার কথা বলে এবং তারা উভয়ে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় গিয়ে উষা তাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এবং বলে আমার সাথে যে বিয়ে হয়েছে সেটা কোন বিয়ে নয় বলে খারাপ আচরণ শুরু করে। এসময়ে হাফিজুলের এটিএম কার্ড দিয়ে ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে। এবং তার ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের ফিজার মটরসাইকেল ও নগদ ২লক্ষ টাকাসহ মোট ৬ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে হাফিজুল ইসলাম অভিযোগ করেন। এরপর গত ৫ জুন ২০২০ তারিখে লালপুরে হাফিজুলের বাড়ীতে এসে তার মায়ের নিকট দেনমোহরের বাকি ৮ লক্ষ টাকা দাবী করে। হাফিজুলের মা টাকা দিতে অস্বীকার করলে উষা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে এবং তাকে জোরপূর্বক আটকিয়ে রাখা হয়েছে বলে এক পর্যয়ে সে হট লাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। হট লাইনের কল পেয়ে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উষা ও তার ভাই উষানকে জিঙ্গাসাবাদ করে জানতে পারেন উষান তার ভাই নয় সে তার ছেলে। এ সময় পুলিশ উষার আটকিয়ে রাখার অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। 

উষা নিজের ছেলের পরিচয় গোপন করে উষা নিজেকে কুমারী পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারনা করে হাফিজুলের সাথে প্রতারনা করে আসছে। কথিত দেন মোহরের ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়র চেষ্টা করে। এ ঘটনায় হাফিজুল বাদী হয়ে উষ্ণ খাঁন ওরফে উষার নামে ৯ জুন লালপুর  থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা জানান, প্রতারণা মামলায় উষ্ণ খাঁন ওরফে উষাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ৬জুলাই ২০১৭ সালে চুরির অভিযোগে মামলা হয়। এছাড়াও তিনি বাদী হয়ে বিভিন্ন নামে রামপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে ২ টি মামলা করেন। তার ছেলে উষানকে সমাজ সেবা অফিসের প্রবেশন অফিসারের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে।

আরও দেখুন

বড়াইগ্রামে সবজি ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক বিঘা জমিতে চাল কুমড়া, খিড়া ও তরমুজ চাষ করেছিলেন নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক …