নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / নাটোরে আ’লীগের এমপির নিজ ইউনিয়নেই নৌকার ভরাডুবি

নাটোরে আ’লীগের এমপির নিজ ইউনিয়নেই নৌকার ভরাডুবি


নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুলের নিজ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সে ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জহুরুল ইসলামকে পরাজীত করেন বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী এস.এম লেলিন। এনিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এদিন বাগাতিপাড়ার ৫টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে নৌকার ২টি, বিদ্রহী ১টি ও বিএনপি সমর্থীত প্রার্থী ২টি ইউপিতে জয়লাভ করেছেন।

উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন পাঁকা ইউনিয়নে নয়েজ মাহমুদ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), জামনগরে গোলাম রাব্বানী (বিএনপি সমর্থীত), বাগাতিপাড়া সদরে মজিবর রহমান (নৌকা), দয়ারামপুরে মাহাবুর রহমান মিঠু (নৌকা) ও ফাগুয়াড়দিয়াড়ে এস.এম লেলিন (বিএনপি সমর্থীত)।

দলের এমন বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, স্থানীয় এমপি বকুল। তিনি জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও আমাদের সাথে ছিলেন না। তার কারণেই এমনটা হয়েছে। আর কোনো কোনো ইউনিয়নে প্রার্থী বাছাই সঠিক হয়নি। এর মধ্যে দলের কোনো কোনো নেতা অন্য প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন। এজন্য ভোটের ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে।

এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার রহমান বলেন, নিজের পছন্দের প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়ায় উপজেলার কয়েকজন নেতা নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমনকি কেউ কেউ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবার অন্য দলের প্রার্থীদেরও সমর্থন করেছেন। এ কারণে একাধিক ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।

এবিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, খুব ভালো ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি নিজেও ভোট দিয়েছেন, কারও কোনো অভিযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, সব সময় নৌকার পক্ষে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তার ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সাংগঠনিকভাবেও তাদের এক দিন ডেকে আলোচনা করে সবার কাছে করজোড়ে অনুরোধ করি যেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন তার পক্ষে সবাই কাজ করেন এবং কেউ যেন নৌকার সাথে বেইমানী বা বিদ্রোহ না করে। আমি যখন এমপি নির্বাচন করেছি তখন কিন্তু আমি সেই ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছি। নিজের পছন্দের প্রার্থী মনোনয়ন না পাওয়ায় আমাদের দলের অনেক নেতা বিদ্রহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন, সে-সুযোগ নিয়েছে বিএনপি।’

আরও দেখুন

অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রতীক পেলেন ফরিদা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:উচ্চ আদালতের আদেশে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন …