রবিবার , এপ্রিল ২৮ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / নাটোরের বড়াইগ্রামে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ৬ জনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা

নাটোরের বড়াইগ্রামে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ৬ জনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নাটোরের বড়াইগ্রামে শিশু অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ৬ জনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ ৩ মার্চ দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। ‌ রায়ে সুজাব আলী, সুমন আলি, মোঃ রফিক, মোঃ ডাব্লু , মোঃ আতাহার আলী এবং মোঃ ইমদাদুল হককে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ দেন তিনি।

নাটোর জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৯ সালের ৫ মে জোয়ারী উচ্চ বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া সংখ্যালঘু পরিবারের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে   নিয়ে যায় সুজাব আলী। পরে তাকে একটি কলাবাগানে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।  এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পরের দিন ৬ মে সুজাবের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর ওই অভিযুক্ত ছয় জন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে ভয়-ভীতি এবং হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জেরে ১২ মে রাত আটটার দিকে মামলার সুজাব আলী, সুমন আলি, মোঃ রফিক, মোঃ ডাব্লু , মোঃ আতাহার আলী এবং মোঃ ইমদাদুল হক একটি মাইক্রোবাসে করে জোর করে ভিকটিমকে তুলে নিয়ে চলে যায়। তাদের চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলেও আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় থাকায় কেউ বাধা দিতে পারেনি। পরে বাদী থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ নিকটবর্তী বনপাড়া ফাড়িতে যেতে বলে।ফাড়িতে যোগাযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন।

আদালতে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।  পুলিশ ঘটনা তদন্ত শেষে ওই ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করলে দীর্ঘ ১৫ বছর পর আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। তবে আসামীরা এসময় আদালতে অনুপস্থিত ছিল।

আরও দেখুন

তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি দূর করতে নাটোরে ইস্তিসকার নামাজ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি দূর করতে নাটোরে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। …