রবিবার , এপ্রিল ২৮ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
Protest

ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর দুটি ধারায় সংশোধনী সোমবার অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার সকালে সংশোধিত আইনের অধ্যাদেশে সই করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব ইমরানুল হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, গেজেট প্রকাশের পর মঙ্গলবারই সংশোধিত আইনটি কার্যকর হবে।    

আইন সংশোধনীর যে কোনো প্রস্তাব সংসদে পাস হতে হয়। তবে সংসদ অধিবেশনে না থাকলে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা যায়। পরে সংসদ যখন বসবে, প্রথম অধিবেশনেই এর অনুমোদন নিতে হবে। 

২০০৩ সালে সংশোধন করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছিল। তবে দলগত ধর্ষণ বা ধর্ষণের ফলে মৃত্যু হলে প্রাণদণ্ডের বিধান আছে। পাশাপাশি দণ্ডিতের অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।

আইনটি আবার সংশোধনের ফলে এখন থেকে যে কোনো ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে।  

এর আগে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল সভায় আইন সংশোধনের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়।

আইনে যেসব সংশোধনী

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ও ৯ (৪) ধারাতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু ইত্যাদির ক্ষেত্রে শাস্তির প্রসঙ্গ রয়েছে এ দুটি ধারায়।   

সংশোধনের আগে ৯ (১) ধারায় বলা হয়েছিল, ‘যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে র্ধষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।’

অন্যদিকে ৯ (৪) এর (ক) ধারায় ছিল, ‘যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তা হলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।’

সংশোধন করে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত হয়েছে। 

অন্যদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে আইনের ১১ (গ) ধারাও পাল্টানো হয়েছে। যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর মতো অপরাধের শাস্তির প্রসঙ্গ রয়েছে ১১ ধারায়। তবে ১১ (গ) ধারাটি সাধারণ জখম সম্পর্কিত। এ ধরনের অপরাধ আগে আপসযোগ্য না থাকলেও সংশোধিত আইনে সে সুযোগ রাখা হয়েছে।

১১ (গ)-তে বলা হয়েছে, কোনো নারীর স্বামী অথবা স্বামীর বাবা, মা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি যৌতুকের জন্য সাধারণ জখম (simple hurt) করলে… ‘অনধিক তিন বছর কিন্তু অন্যুন এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এই দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।‘

আরও দেখুন

তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি দূর করতে নাটোরে ইস্তিসকার নামাজ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি দূর করতে নাটোরে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। …