বৃহস্পতিবার , মে ৯ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরেও ইউপি চেয়ারম্যান তোফাকে আটক করেছে না থানা পুলিশ

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরেও ইউপি চেয়ারম্যান তোফাকে আটক করেছে না থানা পুলিশ

বিশেষ প্রতিবেদক:

নাটোরের লালপুর উপজেলার ৮নং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বিরুদ্ধে নাটোরের বিজ্ঞ আমলী আদালত(লালপুর)গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করার পরেও ইউপি চেয়ারম্যান তোফাকে আটক করেছে না থানা পুলিশ।

সুত্রে জানা গেছে, গত ২২শে জুন-২৩ ইং তারিখে উক্ত আদালতের বিচারক মোসলেম উদ্দিন লালপুর থানার ওসির তদন্ত রিপোর্ট পর্যবেক্ষন করে আসামী তোফাজ্জল হোসেন তোফার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট জারী করেন।
মামলা নং সিআর ৬৩/২৩(লাল)।এদিকে আদালতের সেই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির ৫/৬ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামি গ্রেফতার করেনি লালপুর থানার পুলিশ।

এ বিষয়ে সোমবার(২৬শে জুন-২৩)ও মঙ্গলবার(২৭শে জুন-২৩)ইং তারিখে লালপুর থানার ওসিকে জানালে তিনি বলেন দুড়দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বিরুদ্ধে কোন গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট এর কপি আমার থানায় আসেনি।ওয়ারেন্ট কপি আসার পরে অবশ্যই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

অপরদিকে বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট আলেক শেখ বলেন গত ২২/০৬/২৩ ইং তারিখে ওয়ারেন্ট হয়েছে আদ্য ২৬ তারিখ,ওয়ারেন্ট কপি থানা না পাওয়ার কোন যুক্তি-ই নাই।

এ বিষয়ে মামলার বাদী মেহেরুল ইসলাম বলেন, আসামি প্রভাবশালী হওয়ায় ওয়ারেন্ট হওয়ার পরেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তবুও থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।
উল্লেখ্য যে, মামলাটির বাদী মেহেরুল ইসলাম একজন পল্লী চিকিৎসক ও সাংবাদিক। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ই ফেব্রুয়ারী-২৩ ইং তারিখে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের গন্ডবিল(কালুপাড়া) এলাকার একটি মাটির রাস্তায় ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তা কেটে দিচ্ছে মর্মে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেলে সেখানে তিনি উপস্থিত হওয়া মাত্রই অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা চড়াও হয়ে এ ঘটনা ঘটায়। পরে বিষয়টি লালপুর থানার ওসিকে জানালে তিনি ইউএনও অফিসে অভিযোগ দিতে বলে। পরের দিন ১২ই ফেব্রুয়ারীতে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হলেও ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত কোন আইনী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হলে বাদীর সাংবাদিকতা ও পল্লী চিকিৎসার ক্ষেত্রে মান-সন্মানের হানি ঘটে।

যা ১০ কোটি টাকা টাকার বিনিময়েও এ সন্মান ফিরে আনা সম্ভব হবে না। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক মেহেরুল ইসলাম সকল পত্র-পত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলোর ডকুমেন্টস গুলো নাটোরের বিজ্ঞ আমলী আদালতে দাখিল করে দঃবিঃ৫০০/৫০৫/৫০৫(ক)/৫০৬(।।)৪৯৯/৫০৮/৫০১/৫০৪/৫০২/৫০৩/৫০৬ ধরায় মানহানির মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয়। মামলার পরপরই বিজ্ঞ আমলী আদালত তৎক্ষনাৎ মামলাটি আমলে নিয়ে লালপুর থানার ওসিকে তদন্তের আদেশ দিয়ে ৭/৫/২০২৩ ইং তারিখে দিন ধার্য্য করলে থানার ওসি তদন্ত রিপোর্ট পাঠাতে পুনরায় সময় চাইলে আদালত ২২/০৬/২৩ তারিখ দিন ধার্য করেছিলেন।

আরও দেখুন

অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রতীক পেলেন ফরিদা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:উচ্চ আদালতের আদেশে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন …