নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ

কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদী (পাবনা):
মহামারি করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নীবর দুর্ভিক্ষে রয়েছে ঈশ্বরদীর প্রাথমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন’র অসংখ্য শিক্ষক। গত আট মাসে উপজেলার প্রায় ১০৫ টি প্রতিষ্ঠানের ৮ শতাধিক শিক্ষক বেকার হয়ে পড়েছে।

ইতোমধ্যে সরকার করোনায় বিভিন্ন খাতে প্রনোদনার ব্যবস্থা করলেও, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, তাদের পরিবারে চলছে মানবেতর জীবন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও যথারীতি নিয়মে ভেতন ভাতা পাচ্ছেন, সরকারি, বেসরকারি ( এমপিও) ভুক্ত ওই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা। এমনকি করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রনোদনার ব্যবস্থাও করেছেন। যার অংশ হিসেবে নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা এই সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ঈশ্বরদীর কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের জন্য সরকারের নেই কোনো বিশেষ ব্যবস্থা।

গত ৮ মাস প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের একমাত্র উপার্জনের পথটিও বন্ধ। যার কারণে ওই সকল পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।

সেলিম রেজা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা জানান, দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের পরিবার অসহায় হয়ে পরেছে।

নিউ ব্রাইট কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ মেজবাউল হক চমক জানান, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ঘরভাড়া, বিদ্যুৎবিলসহ আনুসাঙ্গিক খরচ প্রতিনিয়ত চলছে। এই অবস্থায় আমাদের চলাটা দুঃসহনীয়।

সকাল প্রি-ক্যাডেট স্কুল’র পরিচালক মহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা। কিন্তু ইতোমধ্যে সরকার করোনায় বিভিন্ন খাতে প্রনোদনার ব্যবস্থা করলেও, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। শিক্ষার স্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি।

মাতৃছায়া কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক শেখ মহসিন জানান, এলাকায় শিক্ষার মান বাড়াতে প্রথমবার বিদ্যালয়টি চালু করি। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ব্যাপক একটি ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষা সেক্টরকে বাঁচাতে সরকারের দৃষ্টি একান্ত কাম্য।

ঈশ্বরদী কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়শনের সভাপতি ও শাপলাকুড়ি বিদ্যাসদনের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, সরকারের করোনা মোকাবেলায় কোনরুপ জনসচেতনা নেই। অথচ অহেতুক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবন-যাাপন করছে। পাশাপাশি শিক্ষাথীরা শিক্ষা থেকে দারুণ ভাবে ক্ষাতিগ্রস্থ হচেছ। পরবতীতে শিক্ষাথী বিদ্যালয় মুখী হতে অনেক শিক্ষাথী ঝরে যাবে। উপরোক্ত বিষয়াদি সুবিবেচনা পূর্বক দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত বলে মনে করছি।

আরও দেখুন

নাটোরে নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক:  জাতির পিতার  প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন দোয়া ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে …