বৃহস্পতিবার , মে ৯ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / নওগাঁ / উষ্ণতার ফেরিওয়ালা ওসি তারেক

উষ্ণতার ফেরিওয়ালা ওসি তারেক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ:
নওগাঁ ও তার আশেপাশের অঞ্চলে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ ফলে বিপর্যস্থ্য হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকদিনের প্রচন্ড ঠান্ডায় যখন দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিরা শীতে কষ্ট ভোগ করছে তখন নিজ বেতনের জমানো অর্থ দিয়ে কিছুটা উষ্ণতা দিতে জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলার ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের পাশে কম্বল নিয়ে হাজির হচ্ছেন সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার।

সরেজমিন জানা যায়, তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশের সরকারি গাড়িতে এসব কম্বল বহন করে বিতরণ করছেন। কাজের ফাঁকে পথে থাকা দুস্থদের গায়ে কম্বল তুলে দিচ্ছেন। শীতবস্ত্রসহ ওসিকে কাছে পেয়ে আনন্দিত অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ সকলে। এভাবে ছিন্নমূল ও অসহায়-গরীব মানুষদের খুজে খুজে শীতবস্ত্র উপহার দেওয়ার মাধ্যমে পাশে দাড়িয়েছেন সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার। তিনি সদরের জিরো পয়েন্ট, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষ ও বাজারে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত নৈশপ্রহরীদের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় কয়েকশত কম্বল বিতরণ করেছেন। প্রচন্ড শীতের মাঝে ছিন্নমুল অসহায় লোকজন কম্বল পেয়ে তারা ভীষণ খুশি।

কড়মুডাঙ্গা গ্রামের ভিক্ষুক মতিজান বলেন, শীতে হামার খুব কষ্ট। ওসি স্যার হামাক কম্বল দিচে; হামি খুশি হচি। সাপাহার বাজারের বেশ কয়েকজন নৈশ্য প্রহরী বলেন, ওসি স্যার আমাদের সবাইকে একটি করে কম্বল দিয়েছেন। মাঝে মধ্যে রাতে এসে আমাদের খোঁজ-খবর নেয়। রাতে বেলা ফোন করে খবর নেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুধু কম্বল বিতরণ নয়, উপজেলার কোন মানুষের ভোগান্তির কথা শুনলে ছুটে যান তিনি। পাশে বসে দেন শান্তনা; সাধ্যমতো করেন সহযোগিতা। তাছাড়া দুর্ঘটনা বা রোগাক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি থাকলে তার খোঁজখবর নেয়াসহ ভাল চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেন তিনি। কোন নেতাকর্মীর মৃত্যুর খবরে ছুটে যান স্বজনহারাদের কাছে। এসব গুণাগুণের কারণে সাপাহার উপজেলার জনসাধারণের কাছে ভীষণ প্রিয় হয়ে উঠেছেন ওসি তারেকুর রহমান সরকার।

প্রচার বিমুখ ওসি তারেকুর রহমান ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর সাপাহার থানায় যোগদানের আগে ছিলেন জেলার মান্দা থানায়। সেখানে করোনাকালীন সময়ে যখন জনপ্রতিনিধিরা ঘরের বাইরে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন তখন জীবনের মায়া ছেড়ে গৃহবন্দী মানুষের দ্বারে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। নিজ খরচে মান্দা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে করেছিলেন জীবাণুনাশক স্প্রে এবং দিয়েছেন বিনামূল্যে মাস্ক। আর এসব কাজের জন্য তিনি নিজেও এক সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওসি তারেকুর রহমান বলেন, ২০০৬ সালের ১ মার্চে পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর থেকে দেশসেবা ও মানব সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করছি। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবার জন্য সবসময় কিছু করার চিন্তা ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

আরও দেখুন

অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রতীক পেলেন ফরিদা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:উচ্চ আদালতের আদেশে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন …