বৃহস্পতিবার , মে ৯ ২০২৪
নীড় পাতা / টপ স্টোরিজ / ঈশ্বরদীতে কমেনি জনসমাগম, বেড়েছে চালের দাম

ঈশ্বরদীতে কমেনি জনসমাগম, বেড়েছে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদীঃ
মঙ্গলবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঈশ্বরদীর সকল মার্কেট, শপিং মল, বাণিজ্য কেন্দ্র, আবাসিক হোটেল, সাপ্তাহিক হাট, অরনখোলা ও আওতাপাড়ার পশু হাটসহ সকল হাট-বাজার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার পর ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছেন। সেখানে বলা হয়, জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উল্লেখিত সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে খাদ্যদ্রব্য, ঔষধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট ও কাঁচা বাজার খোলা থাকবে। এসময় জনসাধারণকে জরুরী প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়।

তবে বাস্তবে সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদী বাজারের দোকানগুলোতে জনসমাগম আরো বেড়েছে। সোমবার রাতে এই ঘোষণার পরপরই ঈশ্বরদী ও আশেপাশের বাজারগুলোতে জনতার ঢল নেমেছে। ঔষধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট ও কাঁচা বাজার খোলা থাকার বিষযটি ঘোষণা করা হলেও সাধারণ মানুষ ঈদের চাঁদ রাতের মতো দোকানপাটে ভীড় জমিয়ে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদীর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের কাপড় ও গার্মেন্টেসের দোকান, ইলেকট্রনিক্স, হার্ডওয়্যারসহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর দোকান বন্ধ ছিল।

নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিখানা দোকানের সুযোগ গ্রহন করে ষ্টেশনারী ও হোটল-রেঁস্তোরাগুলো সবই খোলা ছিল। অন্যদিকে লক ডাউনের সম্ভাবনায় ঈশ্বরদীতে বস্তা, বস্তা চাল বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে এই মোকামে পাইকারী ও খুচরা বাজারে চালের দাম আরেকদফা বেড়ে গেছে। সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালে বাজারে চাল কেনার ধুম পড়ে যায়। যারা ১০-২০ কেজি করে চাল ক্রয় করতেন তাদেরও বস্তা বস্তা চাল কিনতে দেখা যায়। চালের দাম বেড়ে যাবে এই অজুহাতে অনেকে অতিরিক্ত ক্রয় করছে। ঈশ্বরদীর জয়নগর চালের পাইকারী মোকামে মঙ্গলবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪৮ টাকা কেজির মিনিকেট বেড়ে ৫২ টাকা, ৫৮ টাকার বাঁশমতি ৬০ টাকা, ৩৬ টাকার বিআর-২৮ চাল ৪০ টাকা এবং ৩৭ টাকার বোরো আউশ বেড়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারেও দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। মিনিকেট প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, বাঁশমতি ৬২ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪৩ টাকা এবং বোরো আউশ ৪২ দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য চালের দামও এম দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। আর হাট বন্ধের নির্দেশ থাকলেও মঙ্গলবার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হাট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ব্যাপক জনসমাগম দেখা যায়।

তবে রবিবার রাতে ঈশ্বরদী পুলিশ বিভাগ উপজেলার সকল চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ যথাযথভাবে পালিত হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশের পরও জনগণের এমন মনোভাবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রশাসন সেই সাথে দাম বেশি নিলে কঠোর ব্যবস্থার কথা বলেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান।

আরও দেখুন

অবশেষে উচ্চ আদালতের আদেশে প্রতীক পেলেন ফরিদা!

নিজস্ব প্রতিবেদক:উচ্চ আদালতের আদেশে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেলেন …