রবিবার , এপ্রিল ২৮ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / পাবনা / ঈশ্বরদীতে কমেছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী

ঈশ্বরদীতে কমেছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদী:
দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর সারাদেশের ন্যায় পাবনার ঈশ্বরদীতে ৬ নভেম্বর রবিবার থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এই বছর এইচএসসি সমমানের পরীক্ষায় ঈশ্বরদীতে ১২৭৭ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রথম পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ২% পরীক্ষার্থী। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই তথ্য জানায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। সকল কেন্দ্রের ফলাফল না আসায় পরিসখ্যানটি সংখ্যায় বলতে পারেন নি তিনি। তিনি জানান, সরকারি এস এম স্কুল এন্ড কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০৯২ জন তবে অনুপস্থিত ছিল ২০ জন শিক্ষার্থী।

২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট ৪ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৪ হাজার ৩৪৮ জন, অকৃতকার্য হয় ৫৮৩ জন। কিন্তু সদ্য অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছে ৩ হাজার ৮০ জন। পরিসখ্যান অনুযায়ী ১ হাজার ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী নিবন্ধন করেনি। অন্যদিকে নিবন্ধন করলেও পরীক্ষা দিবে না বলে জানিয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী। ফলে এই বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাড়ায় ১২৭৭ জন ।

ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর ঈশ্বরদীতে এইচএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট অংশ নেওয়ার কথা ৩ হাজার ৭১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষা শাখায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৬, মাদ্রাসা শাখায় ১৬০ এবং কারিগরি শাখায় ৫৪৫ জন শিক্ষার্থী। মোট ৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, ২০১৯ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ঈশ্বরদী উপজেলায় সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১২৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ২ হাজার ২৯৩ জন, অকৃতকার্য হয়েছেন ৮৩৬ জন। গতবছরের চেয়ে এবার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী কমেছে।

শিক্ষার্থী ঝরে পরার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক অধ্যক্ষ জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী কম এইচএসসিতে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব; সেই সময় শিক্ষার্থীরা অনেক ঝরে পড়েছে। এছাড়া বাল্যবিবাহও দায়ী। ইন্টার লেভেলের শিক্ষার্থীদের বিবাহ মানে বাল্যবিবাহ। অনেকের বাল্যবিবাহ হয়েছে। আমাদের অনেক ছাত্রী সন্তান নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে। আরেকটি কারণ জীবিকার তাগিদে কাজে যুক্ত হওয়া। অনেকেই সাংসারিক চাপে বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়েছে। পড়াশোনা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে বলে এই শিক্ষক জানান।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি ও পেপার মিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান জানান, করোনার সময়ে প্রচুর পরীক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। জন্মনিবন্ধন পরিবর্তন করে এই বিবাহগুলো হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বিবাহর রেজিস্ট্রিও হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, এত শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার বিষয়টি ভাবনার। কী কারণে এসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে না তাও বের করা দরকার। আমরা কলেজগুলোতে নির্দেশনা দেব। ধারণা করা হচ্ছে করোনার জন্য এমন হতে পারে। আবার অনেক শিক্ষার্থীর বিবাহও হয়ে গেছে। আমরা এগুলো নিয়ে অনুসন্ধান করব।

আরও দেখুন

তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি দূর করতে নাটোরে ইস্তিসকার নামাজ আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি দূর করতে নাটোরে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। …