শনিবার , এপ্রিল ২৭ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / স্কুল শিক্ষার্থীদের সাথে ক্লাশ করলেন গুরুদাসপুরের ইউএনও

স্কুল শিক্ষার্থীদের সাথে ক্লাশ করলেন গুরুদাসপুরের ইউএনও

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর
শ্রেণিকক্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন শিক্ষক। সব শিক্ষার্থীই স্কুল ইউনিফর্ম পরা। হঠাৎ বিদ্যালয়ের পিছনের ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেন আরো এক শিক্ষার্থী। পরনে সাদা শার্ট-কালো প্যান্ট। শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করলেন তিনি। শেষ বেঞ্চে বসা এই শিক্ষার্থীর বয়স একটু বেশী হওয়ায় বেশ কৌতুহলী হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকও রীতিমতো হতাশ।

এই শিক্ষার্থীকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান করালেন শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক। সময় তখন বেলা ১১টা। এরই মধ্যে বিদ্যালয় জুড়ে হৈচৈ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম মিঠু এসে দেখলেন এই শিক্ষার্থী মো. তমাল হোসেন। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এই কর্মকর্তা মঙ্গলবার প্রথমে নাটোরের গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় পরে বেগম রোকেয়া গার্লস ও চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনি ছদ্মবেশে ঝটিকা অভিযান চালান। তার উপস্থিতি মুহুর্তেই বদলে দেয় বিদ্যালয়ের পরিবেশ।

নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন-তিনি অভিযোগ পেয়েছেন বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অমনযোগী হয়ে পড়েন। অথচ একই শিক্ষার্থীদের ঠিকই কোচিং করান। এতে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া ব্যহত হচ্ছে। মূলত এসব বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি এই অভিযান চালান।

তিনি বলেন গুরুদাসপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে ক্লাস করেছেন। এসময় শ্রেণি শিক্ষককের সাথে পাঠদানের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া বেগম রোকেয়া স্কুল এ্যন্ড কলেজে গিয়ে দেখেন সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের বিকট শব্দে পাশের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালিন সময় শিক্ষকের বক্তব্য শুনতে পায়না। এতে শিক্ষার্থীদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।

বিষয়টি তিনি সমাধানের আশ্বাস দেন। এসময় বিদ্যালয়গুলোতে বাল্যবিয়ে ও উত্ত্যক্ত রোধে আলোচনা করা হয়। আগামীতে এ অভিযান অব্যহত রাখার অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

আরও দেখুন

বৈশাখের খরতাপে চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিতরণ অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশাখের তীব্র তাপদাহে মানুষ ও প্রাণীকুলের জীবন-যাপন হাঁসফাঁস অবস্থা। বিশেষ করে চলনবিলের কৃষি …