নীড় পাতা / জনদুর্ভোগ / সারাবছর যেখানে খেলার মাঠ ডুবে থাকে কোমর পানিতে

সারাবছর যেখানে খেলার মাঠ ডুবে থাকে কোমর পানিতে


নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া সরকারি ফুটবল মাঠ। সেখানে সর্বশেষ কবে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে কেউ বলতে পারেন না। চারপাশে সুউচ্চ প্রাচীর থাকলেও নেই কোন ফটক। তাই অবাধে সেখানে চড়ে গরু-মহিষ। এলাকাবসী আবর্জনা ফেলার স্থান হিসেবেও ব্যবহার করেন এই মাঠ।

সরোজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কোমর পানিতে মহিষের বিচরণ। একপাশে বড় আকারের একটি খড়ের পালা। এছাড়াও মাঠের পাশে রাস্তা পচা পানিতে ডুবে আছে। সেখান দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে এলাকার লোকজনের পায়ে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে।

এই প্রতিবেদককে দেখে এগিয়ে এলেন এলাকার তরুণ-যুবকরা কথা বলতে। তাদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, নেতা আসে নেতা যায় কিন্তু ফুটবল মাঠ কোমর পানিতে ডুবে থাকে। তিনি আরো জানান, আপনারা এসব রিপোর্ট কইরি কী করবেন? সরকারি কর্মকর্তা চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য সবাই আসেন, আইসি কতা দিয়িই চইলি যান। কিন্তু ফুটবল মাঠের কোন উন্নতি হয় না।

জালাল নামে এক তরুণ জানান, আমার জ্ঞান পড়া থেকে কোনদিন এই মাঠে খেলা হতে দেখিনি। সারা বছর ধরেই এলাকার খামারিদের মহিষের বিশ্রামের স্থান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

আব্দুল করিম নামে একজন জানান, খেলাধুলা না থাকায় এই এলাকায় মাদকের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো জানান, খেলাধুলা থাকলে এই তরুণ-যুবকরা মাদকাসক্ত হতো না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গণমাধ্যম কর্মী জানান, অর্থ নয়, আন্তরিক ইচ্ছে দরকার এই মাঠ সংস্কারে। তিনি আরো জানান, সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে এই মাঠের পানি নিষ্কাশণের একটি ড্রেন ছিল। যে দিক দিয়ে এই মাঠের পানি নেমে যেত। কিন্তু রাস্তা করার কারণে ছোট্ট কালভার্ট বন্ধ হয়ে এই পানি আর নামেনা। পানি নিষ্কাশনে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর কোন আগ্রহ দেখা যায় না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টুকে জানানো হলে তিনি জানান, মাঠটি সংস্কারে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এই অর্থ বরাদ্দ না পেলে মাঠ সংস্কার করা সম্ভব নয়।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী জানান, মাঠটি সংস্কারের জন্য আমরা বরাদ্দ চেয়েছি। বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে এটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।

নাটোর-১(লালপুর-বাগাতিপাড়া} আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল জানান, আমার মেয়াদকালের মধ্যেই এই মাঠটি সংস্কার করা হবে। মাঠটি সংস্কারে ৫০/৬০ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন। এলাকাটি মাদক মুক্ত রাখার জন্য খুব শীঘ্রই খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে এলাকাবাসী আর কোনো প্রতিশ্রুতি শুনতে চান না, তারা বাস্তবায়ন দেখতে চান।

উল্লেখ্য নাটোর জেলার অন্যতম একটি বড় মাদক কেনাবেচার স্থান এই বিলমাড়ীয়া এলাকা বলে জানান স্থানীয়রা।

আরও দেখুন

প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে তরুনীকে ধর্ষণ,থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের নলডাঙ্গায় বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেছে রুবেল নামের প্রেমিক ও তার দুই …