নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / সরকারি ভাবে ভারত থেকে চাল আমদানিতে আবেদনের হিড়িক পড়েছে

সরকারি ভাবে ভারত থেকে চাল আমদানিতে আবেদনের হিড়িক পড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি:
দেশের বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ইতোমধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এদিকে, বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দিতে আমদানিকারকদের কাছ থেকে আবেদন আহŸান করেছে সরকার। এতে এ নিত্য পণ্যটি আমদানির অনুমতি পেতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের আবেদনের হিড়িক পড়েছে। ইতোমধ্যেই তারা কয়েক লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রæপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, কিছুদিন আগেই বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ধানের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। এ ছাড়াও বাজারে চালের সরবরাহ বেশ ভালো ছিল। তারপরও চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এরপরও প্রতিদিনই চালের দাম বাড়ছে। এতে করে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। ফলে নিম্নআয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। এমনি অবস্থায় দেশের বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ও দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আমদানিকারকেরা বলেন, চালের আমদানি শুল্ক ৬২.৫ শতাংশ থাকার কারণে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি না হওয়ায় শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে সরকার। সবমিলিয়ে ২৫.৭৫ শতাংশ হারে প্রতি কেজিতে সাড়ে ৮ থেকে সাড়ে ৯ টাকার মতো আসবে শুল্ক । ইতোমধ্যেই ভারত থেকে চাল আমদানির লক্ষ্যে বন্দরের আমদানিকারকরা খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সময় রয়েছে। বন্দরের সব আমদানিকারকরা কয়েক লাখ টন চাল আমদানির জন্য আবেদন করেছেন।

এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আট হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেল ২ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারত থেকে চাল আমদানির জন্য আরও অনেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেও তা অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া গত ১৭ ও ১৮ আগস্টের দুইটি বরাদ্দপত্র অনুযায়ী হিলি স্থলবন্দরের দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রেয়াতি শুল্ক মূল্যে এই চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। এর মধ্যে ইউনাইটেড রাইস মিল পাঁচ হাজার ও রকি এন্টারপ্রাইজ তিন হাজার টন চাল আমদানি করবেন।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, আগে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ৬২.৫ শতাংশ শুল্কহার বিদ্যমান ছিল। চাল আমদানির সুযোগ দিয়ে শুল্কহার কমিয়ে গত ১২ আগস্ট এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই যা আমাদের কাস্টমসের সার্ভারে সংযুক্ত করা হয়েছে। চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে রেগুলেটরি ডিউটি থেকে শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি দিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে সংশিষ্ট আমদানিকারকরা বর্তমানে ভারত থেকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ২৬ শতাংশ বা এর একটু কম বেশি শুল্ক পরিশোধ করে চাল খালাস করে নিতে পারবেন। শুল্ক বৃদ্ধি থাকার কারনে বন্দর দিয়ে বর্তমানে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে তবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে বন্দর দিয়ে পুনরায় চাল আমদানি হতে পারে।

আরও দেখুন

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। …