নীড় পাতা / টপ স্টোরিজ / লালপুরে পদ্মা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলন- হুমকির মুখে তীর রক্ষা বাঁধ

লালপুরে পদ্মা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলন- হুমকির মুখে তীর রক্ষা বাঁধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
নাটোরের লালপুরে নবীনগর গ্রামে রাতের অন্ধকারে পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে ভেকু দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু-ভারাট উত্তোলনের মাধ্যমে চুরি করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে তীর রক্ষা বাঁধ সহ কয়েকটি গ্রাম।বর্ষার সময় নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা। থানা পুলিশ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই বালু-ভরটা উত্তলোন করা হচ্ছে বলে গুঞ্জন উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। এমনকি বালু-ভরাট উত্তোলনের জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে থানা পুলিশ বলে জানা গেছে। এছাড়া আইন ও নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে এবং সরকারী অনুমতি ছাড়াই অবৈধ ভাবে এই বালু ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে।এতে লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে বালু-ভরাট বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা।রাতের অন্ধকারে যানবহনে করে বালু-ভরাট উত্তোলনের মাধ্যমে হরিলুট করছে তাঁরা।

এতে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা দেখা গেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রিজভী কনাকটসনের নামে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের নিচে ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু-ভারাট উত্তোলন করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। বালু-ভরাট ভর্তি ও খালি ট্রাক্টর গ্রামের মধ্যে রাস্তা তৈরি করে চলাচল করতে দেখা গেছে। এবিষয়ে বালু-ভরাট উত্তোলনের তদারককারী উজ্জ্বল বলেন,রুবেল ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করুন।এবিষয়ে রিজভী কনাকটসনের প্রকৌশলী রুবেল বলেন,বালু-ভরাট উত্তোলন করার জন্য সরকারী অনুমতি নেই। এবিষয়ে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বলেন, নদীর তীঁর রক্ষা বাধেঁর নিচ থেকে বালু-ভরাট উত্তোলন করা হলে বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ধ্বসে যাওয়ার আংশকা আছে। আর বাঁধ ধ্বসে গেলে অনেক বাড়ী ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

এবিষয়ে সচেতন মহল জানান, নদীর তীঁর রক্ষা বাঁধের নিচে থেকে বালু-ভরাট উত্তোলন করা উচিত নয়।অবৈধ ভাবে বালু-ভরাট উত্তোলন করার জন্য যে সকল পুলিশ সদস্যরা ও স্থানীয় প্রশাসনের যারা সহযোগিতা করছে তাদের এবং বালু-ভরাট উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ও বালু-ভরাট উত্তোলন বন্ধ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও স্বারাষ্ট্র মন্ত্রী সহ ভূমি মন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে বালু-ভরাট উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছিল।আবার বালু-ভরাট উত্তোলন শুরু হয়েছে বিষয়টি দেখছি বলে জানান তিনি।

আরও দেখুন

পুঠিয়ায় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর …