নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / পাবনা / রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে শেষ হবে -মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে শেষ হবে -মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদী:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান প্রকল্প কার্যক্রমের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন একাদশ জাতীয় সংসদের অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুস শহীদ এমপিসহ কমিটির সদস্য এমপিবৃন্দ। দুই দিন ব্যাপি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান প্রকল্পের গ্রীণসিটি প্রকল্প মিলনায়তনে ঈশ্বরদীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক মত বিনিময় করেন তিনি।

মতবিনিময়কালে মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, সব ধরনের বিপদমুক্ত প্রকল্প হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে অর্থ ব্যয় যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয় তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কিনা তা পরীক্ষা করতে জাতীয় সংসদের স্পীকারের অনুমোদনক্রমে আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখেছি রূপপুর প্রকল্প সঠিক পথেই এগুচ্ছে। যেসব কাজ এখনো বাকি, সেসব ঠিকঠাক মতোই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম ইউনিটের ৪৯% বিল পরিশোধ হয়েছে বলে জানান তিনি। এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার ৭১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নির্মাণ কাজের সন্তোষ প্রকাশ করে সঠিক সময়ে বরাদ্দকৃত অর্থে রূপপুর প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা পোষণ করেছেন।

এসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলী হোসেন, রূপপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দুসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংসদীয় অনুমিত হিসাব সংক্রান্ত কমিটির পাঁচ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষণ টিম সোমবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে ঈশ্বরদীর রূপপুরে এসে পৌঁছে। কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ এমপি প্রকল্পের ‘অগ্রগতি ও পর্যবেক্ষণ’ টিমের নের্তৃত্ব দেন। দুই দিন ব্যাপী এই কমিটি প্রকল্পের সার্বিক বিষয়াদি স্বশরীরে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন ছাড়াও প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠদের সাথে একাধিক সভা করেন।

রূপপুর পারমাণবিকের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, সোমবার বিকেলে এবং মঙ্গলবার সংসদীয় উপ কমিটি কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করেন। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই প্রকল্পে কোনো প্রভাব পড়েনি। কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সময়মতো রাশিয়া হতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আসছে। এখন পর্যন্ত প্রথম ইউনিটে সার্বিক ভৌত অবকাঠামোগত অগ্রগতি ৮০ ভাগ ও যন্ত্রাংশ স্থাপনের অগ্রগতি ৭০ ভাগ। আর দ্বিতীয় ইউনিটের সার্বিক অগ্রগতি ৪৫ ভাগ বলে জানান তিনি ।

ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভবনের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনমেন্ট নির্মাণ শুরু হয়েছে। রূপপুর প্রকল্পে ৩+ প্রজন্মের দু’টি রুশ ভিভিইআর ১,২০০ + ১,২০০= ২,৪০০ মেগাওয়াটের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। রাশিয়া এর মধ্যে ৯০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। সরকার বাকি ব্যয় ভার বহন করছে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম ইউনিট থেকে ২০২৩ সালের শেষে এবং দ্বিতীয় ইউনিট হতে ২০২৫ সালে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন।

আরও দেখুন

লালপুরে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর: আসন্ন উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপ নির্বাচনে নাটোরের লালপুরে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ …