নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / রাণীনগরে আমনেও ধান-চাল সংগ্রহ লক্ষমাত্রা ব্যহত হওয়ার আশংকা!

রাণীনগরে আমনেও ধান-চাল সংগ্রহ লক্ষমাত্রা ব্যহত হওয়ার আশংকা!


নিজস্ব প্রতিবেদক, রানীনগর:
নওগাঁর রাণীনগরে সরকারী ভাবে আমন মৌসমে অভ্যন্তরিন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে লক্ষমাত্রা ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। গত বোরো মৌসুমে বরাদ্দের প্রায় ৬০ ভাগ চাল সরবরাহ করা হলেও লোকসানের কথা ভেবে চলতি মৌসুমে সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ঠ মিল মালিকরা চুক্তিতে আসছেন না। এছাড়া বাজারে দাম বেশি থাকায় ধান সংগ্রহ গত মৌসুমের মতো চলতি মৌসুমেও শুন্যের কোঠায় থাকতে পারে বলে ধারনা সংশ্লিষ্ঠদের।

সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানাগেছে, গত ২৯ নভেম্বর উপজেলা খাদ্য গুদামে চলতি আমন মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ৯১৬মেট্রিকটন ধান এবং ৩৭ টাকা কেজি দরে ১হাজার ৮৫৬মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে ১২৫ মেট্রিকটন আতব চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিনে মাত্র এক মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হলেও গত ২০ দিনে আর কোন ধান সংগ্রহ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সরকারী ভাবে চাল সরবরাহে মিলাররা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

সূত্র মতে, উপজেলায় ১২৫ জন মিলার রয়েছেন। গত ১০ ডিসেম্বর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাত্র ৯ জন মিলার চাল সরবরাহে সরকারের সাথে চুক্তি করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন চাল সরবরাহ করা হয়নি। খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন,গত বোরো মৌসুমে ৩হাজার ৩৯৬ মেট্রিকটন সিদ্ধ এবং ৩৩৭মেট্রিকটন আতব চাল সরবরাহের জন্য ১২৫জন মিলার চুক্তি করলেও সম্পন্ন এবং আংশিকভাবে ৮০জন মিলার ২হাজার ১৮৮মেট্রিকটন চাল সরবরাহ করেছেন।তবে ৩৩৭ মেট্রিকটন আতব চাল সরবরাহ করেনি। এছাড়া ৩হাজার ৩৪১ মেট্রিকটন ধানের মধ্যে কৃষকের নিকট থেকে মাত্র ৩২ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ঠ এবং স্থানীয়দের মতে, চলতি মৌসুমেও বাজারে সরকার নির্ধারিত ধানের দামের চাইতে খোলা বাজারে রকমভেদে প্রতিমন ধান দেড় থেকে দুইশ টাকা বেশি পাওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করছেননা কৃষকরা। ফলে এমৌসুমেও ধান সংগ্রহ ব্যহত হতে পারে ।

রাণীনগর উপজেলা চাল-কল মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিতানাথ ঘোষ বলেন,বর্তমানে সরকারীভাবে যে দর বেধে দেয়া হয়েছে তার চাইতে বাজারে প্রতিমন চাল প্রায় ৩ থেকে ৪শত টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কেউ সরকারকে চাল সরবরাহে চুক্তি করছেননা। কেউতো আর লোকসান দিয়ে ব্যবসা করবেনা। এমনিতেই গত মৌসুমে চুক্তিবদ্ধ প্রতিজন হ্যাসকিং মিলারদের প্রায় ১লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোকসান হয়েছে।

উপজেলা ধান চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, গত মৌসুমে চুক্তিবদ্ধ যে সকল মিলাররা চাল সরবরাহ করেননি তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে এমৌসুমেও খোলা বাজারে ধান-চালের দর বেশি থাকায় সরকারী ভাবে কেউ ধান-চাল সরবরাহে আগ্রহ দেখাচ্ছেনা। ফলে সংগ্রহ অভিযান ব্যহত হতে পারে। এবিষয়গুলো সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আরও দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলায় সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত নির্বাচনে পরাজিত প্যানেলের কতিপয় সদস্য নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দু’জন পরিচালকের নেতৃত্বে …