নীড় পাতা / জাতীয় / মহানবীর (সা.) আদর্শ বিশ্বের সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক হতে পারে

মহানবীর (সা.) আদর্শ বিশ্বের সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক হতে পারে

নিউজ ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। মহানবীর (সা.) আদর্শ বিশ্বের সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক হতে পারে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে আজ শনিবার এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, দুনিয়ায় তার আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মূনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আল্লাহ রাববুল আলামীন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ওপর অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সারাবিশ্বে এ মহাগ্রন্থের মর্মার্থ ছড়িয়ে দেন।

আবদুল হামিদ বলেন, মহানবী (সা.) সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা এবং মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিদায় হজের ভাষণ সমগ্র মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারী হয়ে থাকবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদিনা সনদ’ ছিল মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সর্বজনীন ঘোষণা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী (সা.)’র শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। তার জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয় হোক, মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি। মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহানবী (সাঃ)’র সুমহান আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন।’

আরও দেখুন

লালপুরে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর: আসন্ন উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপ নির্বাচনে নাটোরের লালপুরে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ …