নীড় পাতা / জাতীয় / ভোটে আগ্রহী দলের সংখ্যা বাড়ছে

ভোটে আগ্রহী দলের সংখ্যা বাড়ছে

নিউজ ডেস্ক:

নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। প্রথম দিন ১০টি দল নিজেদের অবস্থান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে। দ্বিতীয় দিন আরও পাঁচটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতার বিষয় ইসিকে অবহিত করে। এখন পর্যন্ত ১৫টি আগ্রহ প্রকাশ করায় নির্বাচন কমিশন মনে করছে নিবন্ধিত অন্তত এক-তৃতীয়াংশ রাজনৈতিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এসব দল নির্বাচনে অংশ নিতে জোটগত অবস্থান বা দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এসবের বাইরে আরও কিছু রাজনৈতিক দল শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আগ্রহী দলের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইসিসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নিতে হলে তফশিল ঘোষণার ৩ দিনের মধ্যে তা নির্বাচন কমিশনে জানানোর নিয়ম রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে তথ্য জানাতে ১৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইদিন দলীয় প্রার্থীকে কার স্বাক্ষরে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা ইসিকে অবহিত করতে বলা হয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৫টি নিবন্ধিত দল তাদের অবস্থান ইসিকে জানিয়েছে। তবে বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল ইসির ওই চিঠির জবাব দেয়নি। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। তবে বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সহায়তা চাইলে তা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। রোববার নিজ কার্যালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিএনপি যদি বলে আমরা নির্বাচন করব, আমাদের সহায়তা করেন তাহলে অবশ্যই করব। তবে রাজনৈতিক দলকে কন্ট্রোল করার দায়িত্ব আমাদের নয়। যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের জন্য যতরকম চেষ্টা আছে তা করা হবে। যারা নির্বাচনে আসবে না তাদের ব্যাপারে কিছু করার নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন বা পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে এবং তা প্রমাণিত হলে ইসি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, রোববার পর্যন্ত অন্তত ১৫টি রাজনৈতিক দলের চিঠি পেয়েছে ইসি। দলগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), গণতন্ত্রী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি), তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি, গণফ্রন্ট, গণফোরাম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি। এর মধ্যে নয়টি রাজনৈতিক দল নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত নির্বাচনের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আরও জানা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়ন ও প্রতীক দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দেবেন বলে ইসিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ইসিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, দলটির মহাসচিব মো. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নে সই দেবেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ নিয়ে জোটগতভাবে নির্বাচন করবে। যদিও জোটের অন্য শরিকরা ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, যেসব রাজনৈতিক দল ইসিতে চিঠি দিয়েছে, সেগুলো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তা স্পষ্ট হলো। যদিও যেসব দল জোট ছাড়া এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের ইসিতে তথ্য জানানোর বাধ্যবাধকতা নেই। তবে নির্বাচন কমিশন মনে করছে, শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

আরও দেখুন

প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে তরুনীকে ধর্ষণ,থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের নলডাঙ্গায় বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেছে রুবেল নামের প্রেমিক ও তার দুই …