নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / ভুয়া বিয়ের হলফনামা দেওয়ার অভিযোগ কাজীর বিরুদ্ধে

ভুয়া বিয়ের হলফনামা দেওয়ার অভিযোগ কাজীর বিরুদ্ধে


নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
সময়ের সাথে বেড়ে চলেছে কোর্ট ম্যারেজ ও হলফনামার মাধ্যমে বিয়ে করার প্রবণতা। বিশেষ কয়েক শ্রেণির নারী-পুরুষের মধ্যে এরকম বিয়ের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। আর এই বিয়েকে পুঁজি করে বিভিন্নভাবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু প্রতারকরা। এমনই এক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল্লাহ নামের এক কাজীর বিরুদ্ধে। আব্দুলাহ কাজী নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহল্লার মৃত ময়েজ উদ্দীনের ছেলে ও পৌরসভার ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের বিয়ে ও তালাক নিবন্ধনকারী কাজী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারণার স্বীকার এক ভুক্তভোগী বলেন, তার সাথে এক মেয়ের দীর্ঘদীনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তারা দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আব্দুল্লাহ কাজীর সাথে যোগাযোগ করলে কোর্ট ম্যারেজ করতে হবে বলে ৯হাজার টাকা নেন। এরপরে তাদের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে কোর্ট ম্যারেজের হলফনামা করে দেন। কিন্ত পরে তিনি জানতে পারেন কাজীর দেওয়া সেই হলফনামাটি ভুয়া। তিনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। এমন প্রতারণার স্বীকার আর যেন কেউ না হয় তার জন্য তিনি এই কাজীর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

স্থানীয় ও গোপন সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত কাজী পেশার সাথে জড়িত আব্দুল্লাহ। তিনি নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি টাকা নিয়ে বিয়ে নিবন্ধন করেন। এছাড়া বিভিন্নভাবে গোপনে বাল্যবিয়েও পড়ান বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে আব্দুল্লাহ কাজী বলেন, আমি শুধু বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন করি। হলফনামা দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। ভুয়া হলফনামা দেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

গুরুদাসপুর কাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান, আব্দুল্লাহ কাজী সমিতির নিয়ম নীতি মানেন না। তাই তিনি সমিতির সাথে জড়িত নেই।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও দেখুন

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। …