নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / বড়াইগ্রাম / ভিজিডি কার্ডে নাম থাকলেও ২১ মাস মেলেনি চাউল/ ২০হাজার টাকায় রফাদফা

ভিজিডি কার্ডে নাম থাকলেও ২১ মাস মেলেনি চাউল/ ২০হাজার টাকায় রফাদফা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
নাটোরের বড়াইগ্রামে খাদ্য বান্ধব ভিজিডি কার্ডে নাম থাকা সত্তেও ২১ মাস প্রকৃত ব্যক্তিকে ভিজিডি চাউল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ঢাকতে রাতের আধারে ২০ হাজার টাকায় রফাদফাও করেছেন সেই ইউপি সদস্য। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের মো: জব্বার হোসেন।

জানা যায়, উপজেলা মাঝগাঁও ইউনিয়নের চুলকাটি গ্রামের মমতাজ বেগম তার নিজ নামের খাদ্য বান্ধব ভিজিডি কার্ডে নাম থাকা সত্তেও ২১ মাস পায়নি ভিজিডি চাউল। মমতাজ বেগম চুলকাটি গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী। তবে ভিজিডি কার্ডের বিষয়ে মেম্বরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে মমতাজ বেগম উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর অফিসে যোগাযোগ করলে তার নামে কার্ড আছে তা নিশ্চিত হন। এরপরও তার নিজ নামে কার্ড থাকলেও ওয়ার্ড মেম্বর জব্বার হোসেন বিষয়টি গোপন রেখে অন্য একজনকে সেই চাউল নিয়মিত ২১ মাস বিতরণ করেন।

বিষয়টি জানা জানি হলে ওয়ার্ড মেম্বর জব্বার হোসেন ভিজিডি কার্ডের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং পরবর্তীতে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন নিয়ে রাত ১২ টার দিকে মমতাজ বেগমের বাড়িতে গিয়ে ২০ হাজার টাকায় বিষয়টি রফাদফা করেন। এর আগেও ২০১৯-২০ অর্থবছরেও মাধাইমুড়ি গ্রামের আলতাব হোসেন জনির স্ত্রী ইতি খাতুনের নিজ নামীয় কার্ডের চাউল ৯ মাস অন্য একজনকে দিয়ে উত্তোলন করান মেম্বর জব্বার।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বর জব্বার হোসেনে কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে ভিজিডি কার্ডের সমস্যার বিষয়টি মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম নিশ্চিত করে সত্যতা স্বীকার করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

আরও দেখুন

পুঠিয়ায় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর …