নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / ভারতীয় চাল আমদানিতে হিলিতে কমেছে ধান ও চাউলের দাম

ভারতীয় চাল আমদানিতে হিলিতে কমেছে ধান ও চাউলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, হিলি (দিনাজপুর):
খাদ্য শস্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জনপদ দিনাজপুর জেলা। এই জেলার বেশিরভাগ উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ হয়। সম্প্রতি আমন ধান কাটাই-মাড়াই শেষে অনেকটাই বোরো চাষের জন্য জমি তৈরিসহ নানা কাজে ব্যস্ত এখানকার কৃষকরা।

এরই মাঝে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় হতাশ এই এলাকার কৃষকরা। ইতিমধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু একদিন পরেই স্থানীয় খুচরা বাজারে কমেছে চালের দাম, সেই সাথে কমেছে কৃষকের কষ্টে ফলানো স্বপ্নের সোনার ফসল ধানের দাম। আর এতে বিপাকে পড়েছেন হিলি প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। যদিও ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের কিছুটা লোকসান গুনতে হবে, তবে চাউলের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে দিনমজুরদের মাঝে।

হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাল আমদানির প্রভাবে সবধরনের চাউলের দাম কমেছে। প্রকারভেদে প্রতিকেজি চালে কমেছে ৪ থেকে ৫ টাকা। দুই দিন আগে স্বর্ণা-৫ জাতের চাউল প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা কেজি দরে, সেই চাউল এখন কেজিতে ৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা দরে। ৪৫ টাকার গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, ৫৮ টাকা মিনিকেট চাউল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা এবং ৬০ টাকার কাটারি জাতের চাউল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে ধানের বাজারেও নেমেছে ধস, কয়েক দিনের ব্যবধানে সব ধরনের ধানের দাম কমেছে মণ প্রতি ১শ থেকে ১শ ৫০ টাকা। স্বর্ণা-৫ জাতের ধান কেনা-বেচা হতো মণ প্রতি ১২২০ টাকা সেই ধান এখন মণ প্রতি ১৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০৯০ টাকায়, ১১৫০ টাকার গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৯৯০ টাকায়, ১২৫০ টাকার রঞ্জিত বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকায় এবং ১৯০০ টাকার আতব জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ১৬৫০ টাকা দরে। ধানের দাম কমে যাওয়ায় খরচ তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

হিলির কৃষক আমজাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন জানান, ভরা মৌসুমে সরকার ভারত থেকে চাউল আমদানি করায় ধানের দাম কমে গেছে। এভাবে যদি ধানের দাম কমতে থাকে তাহলে আমাদের কৃষকদের পথে বসতে হবে। আমরা আমনের খরচ তুলতে পারবো না। ইতিমধ্যে সবধরনের ধানের দাম কমে গেছে। আমরা বোরো চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি কারন ধানের দাম কমলে খরচ তুলতে না পারলে ধান চাষ করে কি হবে। সরকারের কাছে অনুরোধ চাউল আমদানি করলেও যাতে কৃষকের ধানের দাম ঠিক থাকে।

হিলি বাজারের চাউল ব্যবসায়ী স্বপনসহ কয়েকজন জানান, ভারত থেকে চাউল আমদানির প্রভাবে বাজারে সবধরনের চাউলের দাম কমেছে। প্রকারভেদে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। চাউলের দাম কমায় আমাদের বেচা-কেনাও একটু বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি ধান ব্যবসায়ী মুশফিকুর রহমান জানান, চাউল আমদানির প্রভাবে ধানের দাম কমেছে। প্রকারভেদে প্রতিমণ ধানে কমেছে ১শ থেকে ১শ ৫০ টাকা করে। বর্তমানে ধান আমরা ক্রয় করছি না। কারন ধান কিনে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।বাজার স্থিতিশীল না হলে আমরা ধান ক্রয় করবো না।

আরও দেখুন

পুঠিয়ায় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর …