নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলেদের বিরুদ্ধে অসহায় বৃদ্ধা মায়ের মামলা

ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলেদের বিরুদ্ধে অসহায় বৃদ্ধা মায়ের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নাটোরের সিংড়ায় ভরণ পোষণ না দেওয়ায় ছেলেদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বৃদ্ধা মা। অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে নাটোরের সিংড়া আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ ২৬/৬/২৩ইং তারিখে আসামিদের প্রতি সমন জারি করেন। বৃদ্ধা মা, নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মোছাঃ আমেনা খাতুন (৮৪)।

মামলার আসামিরা হলেন- বাদীর চার ছেলে; শেখ রাশিদুল ইসলাম, শেখ রেজাউল করিম, শেখ রমিজুল করিম, শেখ আবু রায়হান। আসামীরা প্রত্যেকেই সামাজিক ও পেশাগতভাবে প্রতিষ্ঠিত।

অভিযুক্ত শেখ মোঃ রাশিদুল ইসলাম চামারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং চামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, শেখ মোঃ রেজাউল করিম অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক, শেখ মোঃ রমিজুল করিম ইন্সটিটিউট অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা, শেখ মোঃ আবু রায়হান পেশায় কলেজের প্রভাষক।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তিনি অতিশয় বৃদ্ধা, বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে চলনশক্তিহীন মহিলা। ৩০/১২/১৯৯১সালে স্বামীর মৃত্যুর পরে দীর্ঘ সময় যাবৎ তাঁর সন্তানদের অতিকষ্টে সর্বস্ব দিয়ে দারিদ্রতা মোকাবিলা করে সন্তানদের লালনপালন করে শিক্ষিত এবং সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। আসামীগণ সন্তান হিসেবে মায়ের প্রতি কোনো দায়িত্ব কর্তব্য পালন করেনা। মায়ের কোনো খোঁজ খবর নেন না। ভরণ পোষণ চাইলেও দেয় না। এমনকি ভরণপোষণের দাবি করলে আসামীরা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি-ধামকি দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করে, এমনকি বৃদ্ধাশ্রমে রাখার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী আমেনা খাতুন জানান, বর্তমানে তিনি অসুস্থ অবস্থায় অনাহারে, অর্ধাহারে ও বিনা চিকিৎসায় দিন কাটালেও অভিযুক্ত ছেলেরা তাকে ভরণপোষণ দিচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরো জানান, তার অন্য চার ছেলে তাকে ভরণপোষণ দেওয়ায় এবং তাদেরকে তিনি উক্ত মামলার সাক্ষী করায় আসামীগণ তাদের বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলার হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।

আরও দেখুন

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। …