শনিবার , এপ্রিল ২৭ ২০২৪
নীড় পাতা / জনদুর্ভোগ / বড়াইগ্রামে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

বড়াইগ্রামে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
বড়াইগ্রামের গুরুমশৈল এলাকায় সোয়া এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট-খোয়া-বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। পুরাতন ভাঙা বিল্ডিংয়ের সিমেন্টযুক্ত ইট এবং পোড়া কালো রঙের ফাঁপা ইটের আধলা ব্যাবহার করে এ রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তায় এমন নিম্নমানের কাজ হলেও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ যেন দেখেছে না। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুরুমশৈল মসজিদ থেকে বেলালের বাড়ি পর্যন্ত এক হাজার ২৫০ মিটার রাস্তা পাকা করার জন্য এক কোটি ১৪ লাখ ৩১ হাজার ১৮৫ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নাটোরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইসলাম কনস্ট্রাকশনের নামে কাজটি বরাদ্দ হলেও ঠিকাদার মিলন কিনে নিয়ে কাজটি করছেন। প্রায় এক বছর বক্স কেটে ফেলে রাখার পর সম্প্রতি রাস্তাটির কাজ শুরু হলে নিম্নমানের মিঠা আধলা (অর্ধেক) আকারের ইটের খোয়া ও মাটিযুক্ত বালি দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্ষ্টি পরিমাপের খোয়া দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও তা না করে রাস্তা জুড়ে ইট ফেলে রাখা হয়েছে। সেসব ইট শ্রমিক দিয়ে রাস্তাতেই কোন রকমে ভেঙ্গে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে রাস্তার বেশির ভাগ অংশে আধলা থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৪-৫ ইঞ্চি আকারের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কোথাও কোথাও পুরাতন দালান ঘরের সিমেন্টের পলেস্তরা যুক্ত ইটের খোয়া দেয়া হয়েছে। সাব ফেজ স্তরটি ৬ ইঞ্চি হওয়ার কথা থাকলেও তা কোনভাবেই তিন ইঞ্চির বেশি হবে না।

এ ব্যাপারে গুরুমশৈল গ্রামের আব্দুল হাকিম জানান, ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোকের সামনেই যেতেই ভাবে রাস্তার কাজ করলেও অজ্ঞাত কারণে তারা না দেখার ভান করছেন।

একই গ্রামের ফুলবার হোসেন বলেন, শুরু থেকেই স্থানীয় লোকজন কাজের মান নিয়ে আপত্তি করছেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন গ্রামের লোকের নামে মামলা দেওযার হুমকি দেন। তাই আমরা আর কিছু বলি না।

ইটভাঙ্গার কাজে ব্যস্ত একাধিক শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক। ইট ভেঙ্গে শেষ করা আমারে দায়িত্ব। তাতে কতটুকু ছোট বড় হলো এতো খবর সময় কই। ঠিকাারের পক্ষে কাজের তারকির দায়িত্বে তাকা দুলাল হোসেন ও আফতাব হোসেন রাস্তায় নিম্নমানের ইট কিছুটা ব্যবহার হচ্ছে বলে স্বীকার করেন।

ঠিকাদার মিলন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাস্তা খেতে যেতে পারিনি। তাই কেমন উপকরণ দেওয়া বলতে পারছি না। আমি খোঁজ নিচ্ছি।

নাটোর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শহীুল ইসলাম জানান, আমি এ রাস্তার কাজের মান নিয়ে অনেকেই অভিযোগ জানাচ্ছেন। আমি সরেজমিনে কাজটি দেখতে যাবো।

আরও দেখুন

বৈশাখের খরতাপে চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিতরণ অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশাখের তীব্র তাপদাহে মানুষ ও প্রাণীকুলের জীবন-যাপন হাঁসফাঁস অবস্থা। বিশেষ করে চলনবিলের কৃষি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *