নীড় পাতা / কৃষি / বড়াইগ্রামে এক কেজি চালের দামে এক কেজি তরমুজ !

বড়াইগ্রামে এক কেজি চালের দামে এক কেজি তরমুজ !


অহিদুল হক, বড়াইগ্রাম:
বড়াইগ্রামে বর্তমানে এক কেজি চালের দামে এক কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। একদিকে, রমজান মাস অপরদিকে অধিক তাপমাত্রার সুযোগে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীরা রসালো এ ফলের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর প্রতিকেজি চালও বিক্রি হচ্ছে একই দামে।

স্থানীয়রা জানান, রোজার শুরুতেও বাজারে তরমুজের দাম স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু রোজা শুরুর পর মাত্র ১০-১২ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি তরমুজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কয়েক দিন আগেও তরমুজ বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, এখন সেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি।

অপরদিকে, বিক্রেতারা কৃষকের কাছ থেকে পিচ হিসাবে তরমুজ কিনে এনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কেজি ভাবে বিক্রি করছেন। এতে প্রকৃত চাষীরা দাম কম পেলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা বিপুল অঙ্কের মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

দীর্ঘদিন যাবৎ বৃষ্টি না থাকার পাশাপাশি বৈশাখের তীব্র গরমে উপজেলার সাধারণ মানুষের প্রাণ অষ্ঠাগত। দাবদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে সারাদিন রোজা শেষে ধর্মপ্রাণ রোজাদাররা ইফতারে তরমুজ পছন্দ করেন। কিন্তু মাত্রারিতিরিক্ত দামের কারণে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না। বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে বর্তমানে তরমুজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে তরমুজের ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও তরমুজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ইচ্ছেমতো তরমুজের দাম বৃদ্ধি করেছেন। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারী না থাকায় এ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব থামছেই না।

মঙ্গলবার লক্ষীকোল বাজারে তরমুজ কিনতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার বলেন, বর্তমানে প্রতি কেজি চালের দাম ৬০ টাকা, আর এক কেজি তরমুজের দামও একই। এতো দামের কারণে এ বছর সবার পক্ষে মৌসুমী এ ফল কিনে খাওয়া সম্ভব না।

অটোরিক্সা চালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে ঠিকমত গাড়ি চালাতেই পারি না, রাস্তাঘাটে যাত্রীরও অভাব। দিন শেষে যা আয় হচ্ছে, তাতে কোন রকমে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বেঁচে আছি। ছেলেমেয়েরা খেতে চাইলেও এ রোজগারে এতো দামে তরমুজ খাওয়া সম্ভব হবে না।

বনপাড়া বাজারের তরমুজ বিক্রেতা সাহাদ আলী বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে বর্তমানে তরমুজের চাহিদা বেশি। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বাজারে আমদানি কম। এ জন্য পাইকারী বাজার থেকে বেশি দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে, তাই আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নাটোরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শামসুল আলম বলেন, আমরাও সমস্যাটি অনুধাবন করে কেন হঠাৎ তরমুজের দাম এতো বৃদ্ধি পেলো সেটা বের করার চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে তরমুজ কেজি হিসাবে কেন বিক্রি করা হচ্ছেও সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও দেখুন

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। …