নীড় পাতা / আন্তর্জাতিক / বিক্ষোভে লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে আজও উত্তাল ছিল দিল্লি

বিক্ষোভে লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে আজও উত্তাল ছিল দিল্লি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দিল্লি বিক্ষোভে উত্তাল। মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির সিলামপুর এলাকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুলবাস ছাড়াও একটি পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। আক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ও ঢিল ছুঁড়ছে বিক্ষোভকারীরাও।

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের প্রতিরোধে ছোড়া ঢিল-পাথরে দুই পুলিশ আহত হয়েছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদ সংস্থাটিকে বলেছেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে একটা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এখন হাতছাড়া হয়ে গেলো।

ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির উত্তরপূর্বের ঘনবসতি এলাকা সিলামপুরের হাজার হাজার মানুষ আজকের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। বাস ও গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। চারপাশে ধেঁয়া উড়ছে। বিভিন্ন সড়ক অবরুদ্ধ করে রেখে আইনের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।

দিল্লি পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। স্থানীয় একটি নামকরা মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে জমায়েত হওয়ার পর স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করতে শুরু করেন।

তার দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভরকারী বাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া ও ভাঙচুর শুরু করলে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। তারপর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা বন্ধে সেখানে হস্তক্ষেপ করলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ ছাড়াও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হলে সিলামপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানকার ৭টি মেট্রো স্টেশেনের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। দিল্লি মেট্রো রেল করপোরেশন এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ বেশ কিচু এলাকায় মানুষের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন করেছে। বিরোধী দলগুলো আপত্তি জানালেও তা ধোপে টেকেনি। এর প্রতিবাদে উত্তরপূর্ব-ভারতের আসাম, পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কিছু রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। আসামের বিক্ষোভে প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ছয় জনের।

দিল্লিতে প্রথম বিক্ষোভ শুরু করে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু তাদের মিছিলে পুলিশে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে ছোড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতনের পর শত শত শিক্ষার্থীকে আটক করে। জামিয়া মিলিয়ার ঘটনার পর দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ চলছে।

ভারতে নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে নুতন আইন তৈরি করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ চলছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। আইন অনুযায়ী, ২০১৫ সালের আগে প্রতিবেশী দেশ থেকে ‘ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার’ হয়ে অমুসলিমদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।

সৌজন্যেঃ জাগোনিউজ২৪/এসএ/পিআর

আরও দেখুন

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। …