বৃহস্পতিবার , মে ২ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / বাগাতিপাড়ায় ১০জন শিক্ষার্থীকে পড়ায় ১২জন শিক্ষক

বাগাতিপাড়ায় ১০জন শিক্ষার্থীকে পড়ায় ১২জন শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগাতিপাড়া:

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়ালঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন ১২জন শিক্ষক। কাগজে কলমে একশ’ ৪৫জন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ থাকলেও শিক্ষার্থী বিহীন বিদ্যালয়ে টেবিল চেয়ার নিয়ে বেতন উত্তোলন করছেন অভিযোগ এলাকাবাসীর। সাবেক প্রধান শিক্ষক মুনছুর রহমানের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বিদ্যালয়টি দাবি করছেন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। এমন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। 

বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ১৯৯৫ সালে একশ’২০ শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বড়ালঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় । শর্ত পূরণ ও বিদ্যালয়টিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত একশ’ ৪০ জন শিক্ষার্থী থাকায় ২০০২ সালে সাত শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারীসহ এমপিও ভূক্ত হয়। ২০১০ সালে নবম ও দশম শ্রেনীর পাঠদান অনুমতি পায়। ২০১৩ সালে এসএসসি পরিক্ষায় দুইজন শিক্ষার্থী এ প্লাস পায়। তারপর থেকে শিক্ষক কর্মচারী ও পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থী হারাতে থাকে বিদ্যালয়টি। 

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় একটি শ্রেনী কক্ষেই চারটি শ্রেনীর মোট ১০জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চলে। সব শ্রেনীর শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকেনা। অনেকের বিয়ে হয়েছে। আবার কোন শ্রেণীতে শিক্ষার্থীই নাই। কম শিক্ষার্থী নিয়ে ও শিক্ষকরা মান সম্বত পাঠদান করেন দাবি শিক্ষার্থীদের।

স্থানিয় অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষকদের অনিয়মের কারণে বিদ্যালয় হারাচ্ছে শিক্ষার্থী। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মেয়েরাই অন্য বিদ্যালয়ে পড়ে। আর এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বসে বসে বেতন উত্তোলন করছেন। 

গণিত বিষয়ের শিক্ষক জুলফিকার আলী বলেন,নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান। তাই কক্ষ সংকটে একই কক্ষে চলছে পাঠদান। ভবন নির্মান শেষ হলে এ সমস্যা থাকবেনা।

বড়ালঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গনেশ চন্দ্র সুত্রধর বলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষকের সাথে পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে অভ্যান্তরিন দ্বন্দ্ব ছিলো। চলতি বছর মে মাসে অবসর গ্রহনের পর বিদ্যালয় নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেন তিনি। এতে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ফেরাতে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। 

বড়ালঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, অবসরে যাওয়ার পরে পূর্বের হিসাব চাওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পাঠাতে বাধা সৃষ্টি করছেন সাবেক প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও নানান ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। এছাড়া বিদ্যালয়ে থাকা কালিন সময়ে মুনছুর রহমান অপকর্মের সাথে যুক্ত ছিলো। এনিয়ে বিচার শালিশ ও হয়েছে। এসব কারনে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমে গেছে। আশা করা হচ্ছে সামনে সেশনে পরিপূর্ন শিক্ষার্থী আসবে । 

এমন আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে সাবেক প্রধান শিক্ষক মুনছুর রহমান বলেন, আমি কোন অনিয়ম করিনি। বিদ্যালয় ছাড়ার আগে সব হিসাব নিকাশ মিটিয়ে এসেছি। বিদ্যালয়টি নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছেনা। 

শিক্ষকদের অবহেলায় সঠিক পাঠদান ব্যহত হয়ে শিক্ষার্থী হারাচ্ছে বিদ্যালয়টি ঘটনা তদন্তে করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন তিনি।

বাগাতিপাড়া উপজেলা মাধ্যেমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বড়ালঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে কোন অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

আরও দেখুন

হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:মহান আর্ন্তজাতিক পহেলা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক দিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের …