নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / বাগাতিপাড়া / বাগাতিপাড়ায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নাস্তার টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ

বাগাতিপাড়ায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নাস্তার টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নাস্তার টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ওই দপ্তরটির অধীনের ৬টি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের জন্য বরাদ্দকৃত নাস্তার টাকার একটি অংশ তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একটি করে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই সব কিশোর-কিশোরী ক্লাবের নাস্তা বাবদ সরকার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দ অনুযায়ী, প্রত্যেকটি ক্লাবে ৩৫ জনের নাস্তা বাবদ মাথাপিছু ৩০ টাকা করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সেই হিসাবে ৬টি ক্লাবে একদিনে মোট ২১০ জনের নাস্তার বরাদ্দ রয়েছে।

প্রতি মাসে উপজেলার এসব ক্লাবে ৮দিনে এক হাজার ৬৮০ জনের মোট ৫০ হাজার ৪০০টাকা মাসিক বরাদ্দ আছে। কিন্তু মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন আকতার ওই ৬টি ক্লাবে মাথাপিছু ৩০ টাকার পরিবর্তে খাবার সরবরাহকারীদের সর্বোচ্চ ১৯ টাকার নাস্তা ক্রয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে প্রতিমাসে মোট ব্যয় হচ্ছে ৩১ হাজার ৯২০ টাকা। এছাড়া প্রতিমাসের মোট বরাদ্দের বিপরীতে সরকারি ভ্যাটসহ অন্যান্য বাবদ কর্তন করা হয় ৪ হাজার ৭৮৮ টাকা। সেই হিসেবে প্রতি মাসে ৬টি ক্লাবের নাস্তা বরাদ্দের ১৩ হাজার ৬৯২ টাকার হদিস নেই। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, এখাতে জন্য ফেব্রুয়ারী মাসের বরাদ্দের পুরো ৫০ হাজার ৪০০ টাকা উত্তোলন করেছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন আকতার।

এবিষয়ে তিনটি ক্লাবে নাস্তা সরবরাহকারী তছির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ৩টি কিশোর-কিশোরী ক্লাবে নাস্তা সরবরাহ করেন। তাকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন আকতার জন প্রতি ১৯ টাকার নাস্তা সরবরাহ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেমোতাবেকই তিনি নাস্তা সরবরাহ করেন। তিনি আরও জানান, শুক্রবার (১৯ মার্চ) ক্লাবগুলোতে উপস্থিতি কম থাকায় ক্লাবগুলোর প্রত্যেকটিতে ৩৫ জনের মধ্যে দয়ারামপুর ক্লাবে ১৫জন, বাগাতিপাড়া পৌরসভায় ১৫জন এবং পাঁকা ইউনিয়ন ক্লাবে ২৫জনের নাস্তা সরবরাহ করেছেন। নাস্তা সরবরাহকারী জামনগর ইউনিয়নের আইনাল, বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নের ইদ্রীস আলীও মাথাপিছু ১৯ টাকায় নাস্তা সরবরাহ করার কথা জানান।

বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন আকতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার অফিসে গিয়ে তথ্য নেয়ার পরামর্শ দিয়ে কথা শেষ না করে ফোন কেটে দেন। এবিষয়ে নাটোর জেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের উপ-পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও দেখুন

পুঠিয়ায় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর …