নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / বাগাতিপাড়ায় গাছের চারা রোপণেই মিলছে টাকা

বাগাতিপাড়ায় গাছের চারা রোপণেই মিলছে টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
“আমার মাটি আমার দেশ, গড়বো সবুজ বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে বসতভিটায় ও ব্যক্তিগত পতিত জমিতে গাছ লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গাছের চারা রোপণ করলেই গাছের মালিককে টাকা দিচ্ছে পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে নিবেদিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু) ।

রোবাবার বিকালে ফাউন্ডেশনটির আয়োজনে জলবায়ু বান্ধব বৃক্ষরোপণ প্রকল্প বিষয়ক আলোচনা ও উপজেলার গ্রাহকদের (গাছ মালিক) টাকা বিতরণ উপলক্ষে বাগাতিপাড়া পৌরভসভার হলরুমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে স্থানীয় কৃষক ও শিক্ষক ময়নুদ্দীন মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগাতিপাড়া পৌরসভার মেয়র শরিফুল ইসলাম লেলিন।
প্রধান আলোচক ছিলেন বন্ধু ফাউন্ডেশনের কো-অডিনেটর বিভ‚তি ভ‚ষণ সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. ভবসিন্ধু রায়, বন্ধু ফাউন্ডেশনের রিজিওনাল এগ্রিকালচার ম্যানেজার কৃষিবিদ সোহেল রানা, জেলা ম্যানেজার হারুন আহম্মেদ, কৃষি প্রোগ্রাম সংগঠক বিদীত দাস, সহকারী কৃষি প্রোগ্রাম সংগঠক সেলিম রেজা প্রমূখ। সেখানে উপজেলার গাছের চারা রোপণকারী ৫০ জন মালিকের মাঝে গাছ প্রতি ৪০ টাকা হারে ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।

বন্ধু ফাউন্ডেশনের কো-অডিনেটর বিভ‚তি ভ‚ষণ সরকার বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ দূর্যোগপ্রবণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস ও বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা ও নদী ভাঙন। এছাড়া উপক‚লীয় অঞ্চলে বাড়ছে লোনা পানির অনুপ্রবেশ। আর তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষে বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন সারাদেশে জলবায়ু বান্ধব বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই উপজেলায় গ্রাহকদের মাঝে অর্থ বিতরণ করা হল। এই অর্থ বিতরণ কর্মসূচী চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।

ফাউন্ডেশনটির রিজিওনাল এগ্রিকালচার ম্যানেজার কৃষিবিদ সোহেল রানা বলেন, এই বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে সারাদেশে ২০২৪ সালের মধ্যে ২ কোটি গাছের চারা রোপণ করা হবে।ফাউন্ডেশনটির জেলা ম্যানেজার হারুন আহম্মেদ বলেন, আমাদের নির্ধারিত ৫০ রকমের যে কোন গাছের চারা রোপণ করলেই প্রতিটি গাছের চারার জন্য ৪০ টাকা এবং পাচ বছর পর গাছ জীবিত থাকলে আবার প্রতিটি গাছের জন্য ১০ টাকা এবং পরের বছর আবার ১০ টাকা হারে প্রদান করা হবে।
মূলত গাছ পরিচর্চার জন্যই এই টাকা প্রদান করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের বজরাপুর এলাকার বাবুল হোসেন বলেন, আমি ১ হাজার টি আম গাছের চারা রোপণ করে আজ বন্ধু ফাউন্ডেশন থেকে ৪০ হাজার টাকা পেয়েছি। আরেকজন উপজেলার বাগাতিপাড়া ইউনিয়নের আব্বাস উদ্দীন বলেন, আমি ৬শ ৫০ টি আম গাছের চারা রোপণ করে বন্ধু ফাউন্ডেশন থেকে ২৬ হাজার টাকা পেয়েছি। আমার খুব ভালো লাগছে।

আরও দেখুন

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। …