রবিবার , এপ্রিল ২৮ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / পৃথক স্থানে সংবর্ধনায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

পৃথক স্থানে সংবর্ধনায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক,বড়াইগ্রাম :
নাটোরের বড়াইগ্রামে পৃথক স্থানে সংবর্ধনার আয়োজন করার অভিযোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জনের ডাক দেয়। পরে ইউএনও এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। একই সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরে এবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের মূল অনুষ্ঠানের এবং পরিষদ হল রুমে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। পূর্বনির্ধারিত সূচি মোতাবেক মাঠের অনুষ্ঠান শেষে সকাল ১১টায় মুক্তিযোদ্ধাদের হল রুমে যাওয়ার অনুরোধ করলে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সাথে অনুষ্ঠান বর্জনের ডাক দেন।

এসময় আরও অনেকেই অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগের উদ্যোগ নেন। পরে ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, এসিল্যান্ড বোরহান উদ্দিন মিঠু, ওসি শফিউল আযম তাদেরকে থামান। একই সাথে তাদের সকল দাবী গুরুত্বের সাথে বিবেচনার আশ^াস দিলে হল রুমে যান এবং সংবর্ধনা গ্রহণ করেন। এঘটনায় অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট অনুষ্ঠান ব্যহত হয়।

সাবেক কমান্ডার উপজেলার মাধাইমুড়ি গ্রামের শামসুল আলম, বনপাড়া বাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ডা. মসলেম উদ্দিন ও লটাবাড়িয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সরদার বয়াত রেজা বলেন, আমাদের ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমাদেরকেই সম্মান করা হয় না। অনুষ্ঠানে আমাদের কোন প্রতিনিধি রাখা হয় নাই। উন্মুক্ত মাঠে সব অনুষ্ঠান হলেও আমাদেরকে অন্দর মহলে নিয়ে ঘরের ভিতরে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। কেন সবার সামনে কি আমাদের সংবর্ধনা দেওয়া যায় না। আবার সকল অতিথি ও অফিসারদের জন্য সম্মাননা ক্রেষ্ট করা হয়েছে। আমাদের জন্য সেটা করা হয় নাই। এতো অসম্মান নিয়ে সংবর্ধনা নেওয়া যায় না।

মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের খান বলেন, পূর্ব নির্ধারতি কর্মসূচি অনুসারে অনুষ্ঠান চলছিল। এখানে কিছু মুক্তিযোদ্ধা অযথা হুজুগ সৃষ্টি করে পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাদের ভুল বুঝতে পেরে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে।

ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি বৃহস্পতিবার সন্ধায় যোগদান করেছি। সবার সাথে কথা বলার সময়-সুযোগ কোনটাই পাইনি। কথা বলার সুযোগ হলে এমনটা হতো না। আমি সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধাদের বলেছি, আগামীতে তাদের সাথে মতবিনিময় করেই সংবর্ধনাসহ অন্যান্য কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। তারা আমার কথায় আস্বস্থ হয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠান শেষ করেছেন।

আরও দেখুন

নন্দীগ্রামে পুরোদমে চলছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়া জেলার শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলা। এখন এই উপজেলায় পুরোদমে চলছে …