নীড় পাতা / জাতীয় / পদ্মা সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে

পদ্মা সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে

নিউজ ডেস্ক:
আগামী ২৩ জুন পদ্মা সেতু খুলে দিতে ব্রিজিং ফেসিলিটিসসহ শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে নিরবচ্ছিন্নভাবে। গত কয়েক মাসে অগ্রগতি আধা শতাংশ হলেও জানুয়ারিতে হয়েছে দ্বিগুণ। মূল সেতুর অগ্রগতি এখন ৯৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। 

এদিকে চীন থেকে আসা সেতুর বাকি ল্যা¤প পোস্টের চালান সেতু এলাকায় পৌঁছেছে। চলছে ব্রিজিং ফেসিলিটিস, ওয়ে স্টেশন ও ওভার লোড স্টেক ইয়ার্ডসহ শেষ পর্যায়ের কর্মযজ্ঞ। নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাঙালীকে বিশ্বের দরবারে বিশেষ উচ্চতায় নিয়েছে।

এদিকে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের রেললিঙ্ক প্রকল্পে রেলস্টেশন, ভায়াডাক্ট, রেল সেতু ও রেললাইনের কাজ চলছে পুরোদমে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রাজধানীর রেল সুবিধা দ্রুত সংযুক্ত করতে ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের কাজে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

৩৯ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশে এখন হরদম চলছে কাজ। চীনা ঠিকাদার সিআরইসি রেললাইন, রেলস্টেশন ও রেল সেতু নির্মাণ করছে সেনাবাহিনীর সিএসির তত্ত্বাবধানে।

এই অংশের পলাশপুর এলাকায় শুরু হয়েছে পাথরবিহীন রেললাইন বসানোর কাজ। ক্রেনে করে ভায়াডাক্টের উপরে লোহার রেললাইন তোলা হচ্ছে। লোহার গেজবাফল, ইলাস্টিক ক্লিপ, ফাইবারের ইন্সুলেটার ও ফাসনার কানেক্টর দিয়ে আটকে দেয়া হচ্ছে স্লিপারের সঙ্গে। প্রকৌশলী ঢাকা থেকে যশোর ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্প শেষ হবে ২০২৪ সালে। আর পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইন চালুর কথা রয়েছে চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর। কাজ চলছে তিন শিফটে। চীনা ঠিকাদার ‘সিআরইসি’ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিএসির তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

পদ্মা সেতু রেললিঙ্ক প্রকল্পের পরামর্শক মেজর মোঃ ইশতিয়াক আল-আজম, মাওয়া থেকে রাজধানী পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার অংশের অগ্রগতি ৫০ শতাংশের বেশি। রেললিঙ্ক প্রকল্পের ঢাকা অংশে ১৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের সাড়ে ১০ কিলোমিটারে স্প্যান বসে গেছে। এখন বসছে পাথরবিহীন রেললাইন।

পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, সেতুটি যথা সময়ে চালু করতে কাজ এগুচ্ছে ধাপে ধাপে। সেতুতে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন অগ্রগতি ৮৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর ৪০০ কেভি টিএল প্ল্যাটফর্ম কাজ শেষ হয়েছে ৭০ ভাগ। নদী শাসন, পরিবেশ ও দুই পাড়ের এ্যাপ্রোচসহ আট কাজ নিয়ে সেতুর সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৯০ শতাংশ। তবে মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

নদী শাসনের কাজের অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ। আর সেতুর সার্বিক অগ্রগতি সাড়ে ৯০ শতাংশ।

এদিকে চীনা নববর্ষ উপলক্ষে প্রকল্প এলাকায় গত মঙ্গলবার চীনা সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বার্ষিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। বার্ষিক এই উৎসবে চীনা কর্মীরা ছুটি কাটান। প্রকল্পের ইয়ার্ডের ভেতরেই জাঁকজমক এই আয়োজন হয়। এই উৎসব ঘিরে অনেক চীনা দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে এই উৎসবে অংশ নিলেও করোনার কারণে এবার যেতে পারেননি। তাই সেতুতে কর্মরত সকলেই প্রকল্প এলাকার উৎসবে অংশ নেন।

আরও দেখুন

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের চলমান মৌসুমি জনবল থেকে স্থায়ীকরণ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং সরকার …