নীড় পাতা / জাতীয় / নাটোর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরন, দূর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ

নাটোর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরন, দূর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা বীর আমির হামজার বিরুদ্ধে অসদাচরণ দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ঠিকাদার। জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। গতকাল ২১ এপ্রিল বুধবার তারা এই অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তারা জানান, আমরা নাটোর জেলার বিভিন্ন শ্রেনীর ঠিকাদারবৃন্দ নাটোর পৌরসভার অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করিতেছি এবং অনেকের কাজ সমাপ্ত। এই সকল প্রকল্পের কাজ যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নীরীক্ষা ও টেষ্ট রিপোর্ট সহ প্রকৌশলীগন সহ মেয়রের স্বাক্ষর করে, ঢাকায় পি,ডি সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন করে বিল প্রদানের জন্য নাটোর পৌরমেয়র অফিসে প্রেরন করা হয়, কিন্তুঅত্যান্ত দুঃখের বিষয় যথাযথ নিয়ম নীতি অনুসরন করে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রেরন করা হলে তিনি তা বিভিন্ন অজুহাতে ফেলে রাখেন অথবা ফাইল ফেরৎ দেন। আমরা ঠিকাদারগন তার সংঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদের সঙ্গে অসদ আচরন করেন এবং অসংলগ্ন কথা বার্তা বলেন।

তিনি বলেন, আমি নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আমার সকল কিছুর ক্ষমতা আছে। তিনি আমাদের বিভিন্ন কৌশলে তাকে অর্থ প্রদানের কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়কে ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আলাপ করলে তারা বলেন, আমরা নিরুপায়। বিভিন্ন ভাবে তিনি আমাদেরও জিম্মি করছেন, জানতে চাইলে তারা বলেন নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেব বিভিন্ন সময় সমস্যায় আছেন বলে মেয়র মহোদয়ের নিকট থেকে বিকাশ মাধ্যমে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও ঢাকায় সমস্যায় আছি বলে একটা একাউন্টটে নব্বই হাজার টাকা গ্রহন করেন। যার রিসিপ্ট সংরক্ষণ করেছে। পৌরসভার প্রকৌশলী দ্বয়ের নিকট থেকে তার হিসাবে ত্রিশ হাজার টাকা একাউন্টে গ্রহন করেন। তার সকল নথি তাদের নিকট রয়েছে।

মেয়র মহোদয় লোক মারফৎ টাকা ফেরৎ চাইলে তিনি বলেন টাকার অভাব, পরে দিবো বলে ফেরৎ দেন না। প্রকৌশলী গনেরও একই অভিমত টাকা ফেরৎ চাইলে আমাদের সঙ্গেও খারাপ ব্যাবহার করেন এবং চাকুরি খেয়ে নিবেন এমন হুমকি প্রদান করেন। তদন্ত করলে বিষয় গুলির সত্যতা পাওয়া যাবে। তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট এর পরিচয় দিয়ে মুরগির দোকান, গ্যাস, লন্ড্রি, মুদিখানা, মোটর গ্যারাজসহ বিভিন্ন দোকানে বাঁকি নেওয়ার অভিযোগ আছে। তারসঙ্গে আলাপে আমাদের মনে হয়েছে তিনি নেশাগ্রস্থ। বিষয়টি অত্র জেলা তথ্য সরকারের ভাবমূর্তি খুন্ন করছে। আমারা সচেতন নাগরিক তথা ঠিকাদার হিসাবে বিষয়টি আপনার মাধ্যমে সঠিক সমাধান চাই। আবেদনে পৌরসভা ও নাটোর বাসীকে এই নির্বাহী কর্মকর্তার কবল থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান তারা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বীর আমির হামজাকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাতে ফোন কেটে দেন। পরে বারবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

জেলা প্রশাসক জানান, আমি আবেদন পেয়েছি। তবে তার পূর্বেই সিইও সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য ছিল। আমি ঠিকাদারদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র দেব। তিনি আরো জানান, কোন পাওনাদারের টাকা পরিশোধ না করে তাকে যেতে দেওয়া হবে না।

আরও দেখুন

পুঠিয়ায় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর …