বৃহস্পতিবার , মে ২ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / নাটোরে স্বামীর মধ্যযুগীয় নির্যাতনের শিকার সেই গৃহবধুকে মারা গেছেন

নাটোরে স্বামীর মধ্যযুগীয় নির্যাতনের শিকার সেই গৃহবধুকে মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক,গুরুদাসপুর:

নাটোরের গুরুদাসপুরে স্বামীর দেয়া আগুনে ঝলসে যাওয়া দুই সন্তানের জননী সেই গৃহবধু রেবেকা খাতুন পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা   যান   তিনি।   গত   ১৫   ডিসেম্বের   মধ্যযুগীয়   কায়দায় প্রথমে সিগারেটের ছ্যাকা পরে কেরোসিন ঢেলে রেবেকার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্বামী মেহেদী হাসান। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে সিধুলী গ্রামের মেহেদী হাসান তার স্ত্রী রেবেকা খাতুনকে প্রায়ই মারধর করতো।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে মেহেদী তার স্ত্রী রেবেকার শরীরে প্রথমে সিগারেটের ছ্যাকা পরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে রেবেকার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে মেহেদী পালিয়ে যায়। আগুনে   গৃহবধু   রেবেকার   পুরো   শরীরসহ   মুখমন্ডল   পুড়ে   যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া   হয়।   পরে   সেখানে   দুইদিন   চিকিৎসার   পর   উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার বিকেলে রেবেকাকে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে   নিয়ে   যাওয়া   হয়।   

সেখানে   চিকিৎসাধিন   অবস্থায় ঘটনার  পাঁচদিন  পরে   মৃত্যুর সাথে  পাঞ্জা  লড়ে অবশেষে  মৃত্যুর কাছে হার মানেন রোবেকা। মৃত্যুর আগে রেবেকা তার স্বামীর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে যান। এঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে রেবেকার মা লাল বিবি বাদি হয়ে রেবেকার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ননদের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর থেকেই   আসামীরা   পলাতক   রয়েছেন।   আসামীদের   ধরতে   পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এমন নৃশংস ঘটনায় দায়ীদের আইনের আওয়ায় এনে   দৃষ্টান্তমুলক   শাস্তি   দাবী   করেছেন   নিহতের   স্বজন   ও এলাকাবাসী।

আরও দেখুন

হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:মহান আর্ন্তজাতিক পহেলা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক দিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের …