নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / নাটোরে প্যারামেডিক্যালের এক শিক্ষার্থীর অশ্লীল ভিডিও ধারন এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষন

নাটোরে প্যারামেডিক্যালের এক শিক্ষার্থীর অশ্লীল ভিডিও ধারন এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে প্যারামেডিক্যালে পড়ুয়া শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থীর অশ্লীল ভিডিও ধারন এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষনের দায়ে তন্ময় হোসেন (২৪) নামে একজন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোরে সিংড়া উপজেলার তেলিগ্রাম থেকে তাকে নাটোর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত তন্ময় সেরকোল এলাকার তেলিগ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় কেয়ার ফিড নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্টানের ম্যানেজার। পুলিল ও নলডাঙ্গা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ ভিকটিম জানান, তার বাবা মায়ের পছন্দে ২০১৪ সালে জেলার বাগাতিপাড়া এলাকায় বিহারকোল গ্রামে বিয়ে হয়। সেখানে তাদের ৬ বছর সংসার জীবনে একটি ছেলে সন্তান হয়। যৌতুক দিতে না পারায় স্বামী তাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে। পরে সে শহরের প্যারামেডিক্যাল ইনষ্টিটিউট অব বাংলাদেশ পড়া লেখার পাশা-পাশি মুক্তি ক্লিনিকে চাকুরী শুরু করেন।
এর মধ্যে ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি মাসে অভিযুক্ত তন্ময় হোসেন এর সাথে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার এবং ফোনে পরিচয় ঘটে। ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মাসে প্যারামেডিক্যালে পড়ুয়া ঐ শিক্ষার্থীর সাথে তন্মময় হোসেন সন্ধ্যা ৭.৩০ টার দিকে নাটোর শহরে দেখার প্রথম দেখা করতে আসে এবং কথাপোকথন চলাকালীন ড্রিকংস সাথে কৌশলে চেতনা নাশক ঔষধ সেবন করায়। সেই সুযোগ বুঝে কানাইখালি ফায়ার সার্ভিসের পিছনে (ভাড়া) বাসায় পৌছে দেয়ার কলা বলে অভিযুক্ত তন্ময় তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় এবং তা মোবাইলে ভিডিও ধারন করে চলে যায়। পরে দুপুর ১২.৩০ দিকে ফোনে বাসার বাইরে আসতে বলে এবং তার মোবাইলে ধারন করা অশ্লীল ভিডিও ছবি দেখানোর পর কাইকে না বলার জন্য নিষেধ করে । যদি এসব কথা কাউকে শেয়ার করা হয়, তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয় ।

এব্যপারে ভুক্তভোগী জানান, তার গোপন ভিডিওকে পূজি করে তন্ময় প্রতি সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার দুবার করে বাসায় আসতো এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। প্রায় দেড় বছর যাবত সে তাকে হুমকি দিয়ে সময় কাটিয়েছে। এর পর সে চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর ওই ছাত্রীকে বিয়ে ও কাজী অফিসে কাছে যাওয়া বলে বড়াউগ্রাম ্উপজেলার আহম্মেদপুর নিয়ে যায়। সেখানে একটি কফি হাউজে বসিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় । পরবর্তীতে আবারও একই ২ মার্চ বিয়েটা রেষ্ট্রিঃ করবে বলে আহম্মেদপুর পরে বনপাড়ায় যায় সেখানে ভুক্তভোগীকে অপেক্ষা করতে বলে সে তার আত্মীয় স্বজনদের সহায়তায় নাটোর থানা পুলিশকে অভিযোগ দেয় তন্ময়কে অপহরণ করা হয়েছে। উল্টো ভিকটিমকেই থানা আনা হয় এক পর্যায়ে প্রমান সাপেক্ষে ভিকটিমের সাথে বিয়ে দিয়ে মর্মে অঙ্গীকার নামায় ৬ দিন সময় নিয়ে তন্ময়ের চাচা সামাদ থানা থেকে নিজ জিম্মায় ছারিয়ে নেন এবং অভিযুক্তকে সম্প্রতি অন্যত্র বিয়ে দেন। বিষয়টি জেনে ভুক্তভোগী ২১ মার্চ ছেলের বাসায় যায় পরের দিন তারা মিমাংসা হবে বলে কথা হয়রানি করতে থাকে। পুনরায় ১৫ এপ্রিল ২০২৩ আমি তন্ময়ের বাসায় গিয়ে জানতে পারি সে অন্যত্র বিয়ে করেছে এবং আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। আমি তাদের সামনে বিষ পান করলে এই কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বাজার পর্যন্ত এসে পড়ে গেলে সেখানকার লোকজন সিংড়া থানায় ফোন করে। থানা থেকে পুলিশ এসে হাসপাতালে আমাকে ভর্তি করালে আমি কোন রকম সুস্থ হয়ে উঠি।
সত্যবার্তা নামক অনলাইন ওয়েব পোর্টাল আমার সাক্ষাতকার গ্রহন করে। তারা আমার পাশে থাকেবে বলে আশ^াস দিয়ে সাক্ষাতকার গ্রহন করে। কিন্তু তারা সাক্ষাতকার ভিডিওতে আমার মুখ আড়াল না করে সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ছেলে পক্ষ এই ভিডিও আবার নানাভাবে তাদের ফেইসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করতে থাকে। যার প্রেক্ষিতে আমার পরিবার আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে। আমি বর্তমানে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। আমার বন্ধু- বান্ধব আত্মীয়-স্বজন এমনকি আমার চেনা পরিচিত লোকজনের ব্যাবহারে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছি।

আরও দেখুন

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। …