শনিবার , এপ্রিল ২৭ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / নাটোরে নৃশংসভাবে যুবক হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ

নাটোরে নৃশংসভাবে যুবক হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আইটি ট্রেনিং এ পরিচয়। পরবর্তীতে একসাথে আউটসোর্সিং এর কাজ করা। আউটসোর্সিং এর পেমেন্ট একাউন্ট নিয়ে টানাপোড়েন। প্রাপ্য টাকা পরিশোধে গড়িমশি, দ্বন্দ্ব, প্রতিহিংসা অতঃপর নৃশংসভাবে হত্যা। এমনই চাঞ্চল্যকর, নৃশংস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছে নাটোরের পুলিশ। সোমবার এ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিং এ এই রহস্য উদঘাটনের বর্ণনা করেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

পুলিশ সুপার জানান, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় দুজন। এরা হলো শহরের বড়গাছা পালপাড়া এলাকার খোকন চন্দ্র শীলের ছেলে সাহস শীল এবং তার মামাতো ভাই কুষ্টিয়ার মিরপুর এলাকার শ্যামল কুমার বিশ্বাসের ছেলে পার্থ। হত্যাকারী দুইজন নিহত মিলনের সঙ্গে আউটসোর্সিং এর কাজ করতো। তাদের সমুদয় টাকা মিলনের একাউন্টে জমা হতো। মিলন সেখান থেকে পার্থ এবং সাহস এর প্রাপ্য টাকা তাদেরকে দিতে গড়িমশি করতো। তখন সাহস এবং পার্থ মিলনকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করে। গ্রেপ্তারের পর সাহস ও পার্থকে আদালতে হাজির করা হলে তারা হত্যাকান্ডে জড়িত বলে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

উল্লেখ্য গত ৯ আগস্ট শহরের হাফরাস্তা এলাকায় ওয়াপদা কলোনীর একটি পরিত্যক্ত ভবনে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর দুইদিন পরে ১১আগস্ট রাতে নাটোরের তেবাড়িয়া ইউনিয়নের সিংগারদহ এলাকার ইসমাইল হোসেন নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে যান এবং মরদেহ দেখে তার নিখোঁজ ছেলে মিলন বলে সনাক্ত করে।

আরও দেখুন

বৈশাখের খরতাপে চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিতরণ অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশাখের তীব্র তাপদাহে মানুষ ও প্রাণীকুলের জীবন-যাপন হাঁসফাঁস অবস্থা। বিশেষ করে চলনবিলের কৃষি …