নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / নাটোরে এমপি বকুলকে নিয়ে গুদাম কর্মকর্তার মিথ্যাচার

নাটোরে এমপি বকুলকে নিয়ে গুদাম কর্মকর্তার মিথ্যাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
নাটোর-১(লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলকে নিয়ে লালপুরের গোপালপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) রফিকুল ইসলাম মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের বাড়িতে তাঁর অনুসারীরা তাকে আটকে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন উলে­খ করে বৃহষ্পতিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। শুক্রবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাকে আটকে রাখা, লাঞ্ছিত করা বা জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি সাংসদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে তার বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত লালপুরের এক ব্যক্তির সাথে বাড়ির বাইরে রাস্তার উপর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিলো শুধু।

মিথ্যাচারের মাধ্যমে সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের মানহানি চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে খাদ্য অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাংসদ বকুলের অনুসারীরা।

জানা যায়, বৃহষ্পতিবার বেলা ১২টায় বাগাতিপাড়ার স্যান্নালপাড়া নিজ বাসভবনে লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টিআর বরাদ্দের চেক হস্তান্তর করেন সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল। এসময় দুই উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে অল্প সময়ে দুই উপজেলার চেক হস্তান্তর করে নিজ কক্ষে বসে দুইজন সাক্ষাতপ্রার্থীর সাথে কথা বলেন সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল। এসময় গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য কক্ষে প্রবেশ করেন। দুই থেকে তিন মিনিট কথা বলে সাংসদ বকুল আগত কর্মী সমর্থকদের বিদায় জানিয়ে বাড়িতে চলে যান। রাতে বাগাতিপাড়া থানায় এসে রফিকুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, সাংসদ বকুল বাড়ি চলে গেলে রাসেল ও কালাম নামের জনৈক দুই ব্যক্তি তাকে চার ঘন্টা আটকে রেখে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেন। এ সময় তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে গুদাম কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের জিম্মা থেকে ২০০ বস্তা সরকারি গম উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব গম তিনি কোনরুপ অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিজিম্মায় সংরক্ষণ করছিলেন।

গম উদ্ধারের পর রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তাকে কেউ লাঞ্ছিত করেনি। তবে কেন তিনি সাংসদের নাম জড়িয়ে তার বাড়িতে তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করেছেন, জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি।

সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, আমার বাসায় বা বৈঠকখানায় কাউকে মারধর বা আটকে রাখার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অভিযোগে যা উলে­খ করা হয়েছে, তা সাজানো। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষক, সরবরাহকারী ও শ্রমিকদের বহু অভিযোগ ছিলো। তারা আমার কাছে এর বিচার চাইতে সাক্ষাত চেয়েছিলেন। কিন্ত করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারনে তাদের আমার বাড়িতে আসতে নিষেধ করি। তার বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ আমলে না নিই সেজন্য সে অনুরোধ করতে এসেছিলো। আমি নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলে বাড়িতে চলে যাই। পরে তিনি আমার অফিসে ছিলেন না চলে গেছেন, কিছুই জানি না।

বকুল আরও বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে গুদাম কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলো যেনো তারা অভিযোগ করতে পারে আমি তার সাথে অশোভন আচরণ করেছি। এই গুদাম কর্মকর্তার পেছনে কারা আছে তাও তদন্ত করা দরকার। বিধি ভেঙ্গে কিভাবে তিনি নিজের জিম্মায় গম রাখলেন তারও তদন্ত হওয়া দরকার।

আরও দেখুন

পুঠিয়ায় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর …