নীড় পাতা / স্বাস্থ্য / করোনা / নলডাঙ্গার কলেজছাত্রের করোনায় মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি রইল না
মনির গাজী নলডাঙ্গা

নলডাঙ্গার কলেজছাত্রের করোনায় মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি রইল না

নিজস্ব প্রতিবেদক, নলডাঙ্গাঃ
রাজশাহীর যক্ষা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া নাটোরের নলডাঙ্গার কলেজ ছাত্র মনির গাজী যে করোনা আক্রান্ত ছিল না তা এখন পরিস্কার। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কারোনার নমুনা পরীক্ষায় মনির গাজীর রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় জনমনে এ সংক্রান্ত বিভ্রান্তি দূর হয়েছে। রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতাল কৃতপক্ষ মনির গাজীর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কলেজ ছাত্র মনির গাজী মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরের দিন শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত মনির গাজী (১৯) উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামের আলম গাজীর ছেলে ও মাধনগর ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

উল্লেখ্য, মনির গাজী গত ১৫ এপ্রিল রাতে বাইসাইকেলযোগে বাড়িতে আসার সময় অদৃশ্য কিছু দেখে ভয় পায়। এরপর থেকে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার পরিবার পরদিন অসুস্থ মনিরের চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গত শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা যক্ষা হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে রাখেন মনিরকে। শনিবার ভোরে করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে মনির গাজীর মৃত্যু হয়।

এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বেশ কিছু গণমাধ্যমে তা প্রচারও হয়। গণমাধ্যমের ভাষাগত প্রয়োগ ভুল ব্যাখ্যা করে অনেকে মনে করেন মনির গাজী করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। এতে মনিরের পরিবারের লোকজন সামাজিকভাবে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। মনিরের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় সেই বিভ্রান্তি আর থাকলো না। এখন সকলে নিশ্চিত যে মনিরের মৃত্যু করোনায় নয় বরং মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে হয়েছে।

আরও দেখুন

বাগাতিপাড়ায় হঠাৎ ব্যাংক লেনদেন বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহক

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় কোনো পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই সোমবার দুপুরে হঠাৎ বেশিরভাগ সরকারি ব্যাংকের লেনদেন …