নীড় পাতা / কৃষি / নলডাঙ্গায় কীটনাশকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

নলডাঙ্গায় কীটনাশকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নলডাঙ্গা:
নলডাঙ্গায় কীটনাশকের জন্য ফসলের ক্ষতি নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের হয়েছেন। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে নাটোরের নলডাঙ্গায়। ভাল ফলনের আশায় বাজার থেকে কেনা কীটনাশক প্রয়োগেরর ফলে এমন হয়েছে।

হলুদঘর গ্রামের আসমত আলীর ছেলে হেলাল অভিযোগ করেন, নলডাঙ্গা বাজারের বিজয় এন্টারপ্রাইজের মালিক বজলুর রশিদের কীটনাশক দোকান থেকে এসব কীটনাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করেছিলেন। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,উপজেলার হলুদঘর গ্রামের আসমত আলীর ছেলে হেলাল ধার দেনা করে লাভের আশায় হলুদঘর মাঠে ১৭ কাটা জমিতে ল্যালা পেয়াজ, ৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজের চারা ও ৫ কাঠা জমিতে আলু রোপন করেছিলেন। ভালো ফলন পেতে এসব ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করার প্রয়োজন হলে নলডাঙ্গা বাজারের বজলুর রশিদের কীটনাশক দোকান থেকে তার পরামর্শে ব্যাবিলন এগ্রিসাইন লিমিটেড কোম্পানির ৭ ধরনের কীটনাশক দিয়ে জমিতে প্রয়োগ করতে বলে।

দোকানদারের পরামর্শে কৃষক হেলাল জমিতে প্রয়োগ করেন। পরে তিনদিন পর এসে দেখে ল্যালা পেঁয়াজ, পেঁয়াজের চারা ও আলু হলুদ বর্ণ ধারণ করে পচে নষ্ট হতে শুরু করে। এ অবস্থা দেখে কৃষক হেলাল উপজেলা কৃষি বিভাগে জানায়।

কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা সরেজমিন দেখে প্রয়োগকৃত কীটনাশকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠায়।

ভুক্তভোগি কৃষক হেলাল জানান, আমি ধার দেনা করে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ করে ল্যালা পেঁয়াজ, পেঁয়াজের চারা ও আলু লাগিয়ে ছিলাম। কিন্ত বজলুর দোকান থেকে ভেজাল কীটনাশক কিনে জমিতে প্রয়োগ করেই আমার সর্বনাশ হল। আমি এর ক্ষতিপূরনের দাবী জানাচ্ছি।

তার মত আরেক কৃষক অসিফ জানান, আমিও বজলুর দোকান কীটনাশক কিনে আলু, পেঁয়াজে প্রয়োগ করে একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

কীটনাশক দোকান মালিক বজলু এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি ব্যাবিলন এগ্রিসাইন লিমিটেড কোম্পানির ডিলার হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমার কাছ থেকে কৃষক হেলাল এই কোম্পানি কীটনাশক কিনে নিয়ে যায়। তার মত প্রতিদিন বহু কৃষক একই কীটনাশক কিনে নিয়ে জমিতে প্রয়োগ করে ভালো ফলাফল পাচ্ছে। কীটনাশকের কারণে হেলালের ফসলের ক্ষতি হয়নি দাবী করে বলেন আমি এ কীটনাশকের তদন্ত চাই।

কৃষি অফিস কীটনাশকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছে। কীটনাশকের কারণে তার ক্ষতি হলে আমি এর ক্ষতি পূরণ দিব। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার ফৌজিয়া ফেরদৌস জানান, অভিযোগ শুনে আমরা সরেজমিন ফসলের ক্ষেত পরিদর্শন করেছি এবং প্রয়োগকৃত কীটনাশকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল আসলে জানা যাবে কি কারণে ফসলের এ ক্ষতি হল। তবে মাঠ পর্যায়ের কৃষি উপ-সহকারীর পরামর্শ ছাড়া কীটনাশক প্রয়োগ করা ঠিক না বলে তিনি জানান।

আরও দেখুন

গুরুদাসপুর খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বোরো মওসুমে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা খাদ্য গুদামে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন …