নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / নন্দীগ্রাম পৌর প্যানেল মেয়র ও লাইসেন্স পরিদর্শকের হাতাহাতি

নন্দীগ্রাম পৌর প্যানেল মেয়র ও লাইসেন্স পরিদর্শকের হাতাহাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম(বগুড়া)
বগুড়ার নন্দীগ্রামে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরী করা নিয়ে নন্দীগ্রাম পৌরসভার প্যানেল মেয়রের সাথে লাইসেন্স পরিদর্শকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর ১ টার দিকে নন্দীগ্রাম পৌরসভার হল রুমে এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, সম্প্রতি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরীর বিষয় নিয়ে শনিবার নন্দীগ্রাম পৌরসভায় সভা আহবান করা হয়। এ সভা চলাকালে নন্দীগ্রাম পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ৪৯ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর নামের তালিকা উপস্থাপন করে। ওই তালিকায় আপত্তি জানায় প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিছুর রহমান। এ নিয়ে লাইসেন্স পরিদর্শকের সাথে তার বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায় তাদের মধ্য হাতাহাতি শুরু হলে সভা ভন্ডুল হয়ে যায়। এ খবর পেয়ে পৌর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পৌরসভায় আসলে লাইসেন্স পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা এক বিবৃতিতে লাইসেন্স পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের অপসারণসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।

নন্দীগ্রাম পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্স দেখে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরী করা হয়। কিন্তু প্যানেল মেয়র তালিকা দেখেই মারপিট করে।

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম পৌরসভার প্যানেল মেয়র আনিছুর রহমান বলেছে, লাইসেন্স পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বিএনপির নেতা। তিনি কাউন্সিলরদের সাথে পরামর্শ না করেই বিএনপি দলীয় তালিকা তৈরী করেছে। এর প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে কিল ঘুষি মারে।

জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান সিদ্দিকী বলেছে, সভায় উত্তেজনা ছিল। তবে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি।

আরও দেখুন

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। …