নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / বগুড়া / নন্দীগ্রামে ৩ আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করার অভিযোগ জোট প্রার্থীর ভাগ্নের বিরুদ্ধে 

নন্দীগ্রামে ৩ আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করার অভিযোগ জোট প্রার্থীর ভাগ্নের বিরুদ্ধে 

নিজস্ব প্রতিবেদক ,নন্দীগ্রাম (বগুড়া):

বগুড়ার নন্দীগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ৩ আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী ও সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেনের ভাগ্নের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলার শিমলা বাজারে ঘটনাটি ঘটে। 

মারধরের শিকার হয়েছেন, নন্দীগ্রাম ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুবেল হোসেন, সহসভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা জাসদের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন। একই আসনে বিএনপি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও ৪বারের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। নিজ দলের প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের ওই ৩ নেতা এবার ডা. জিয়াউল হক মোল্লার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন। 

সোমবার দুপুরে তারা ডা. জিয়াউল হক মোল্লার নির্বাচনী প্রচারণা শেষে শিমলা বাজারে রুহুল আমিনের দোকানে বসে নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা করছিলেন। সেসময় ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের এক ভাগ্নের নেতৃত্ব ১০-১২ জন লোক এসে আওয়ামী লীগের ৩ নেতার ওপর হামলা চালায়। তাদেরকে লাঠি ও বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারধর করার পর দোকানটির মালামাল তছনছ করে ফেলে। 

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুবেল হোসেন বলেন, তানসেন ২বার এমপি হয়ে আওয়ামী লীগের লোকজনদেরই বিপদে ফেলেছেন। এজন্য তাকে আমরা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর দলের প্রার্থী না থাকায় আমরা ডা. জিয়াউল হক মোল্লার পক্ষে স্থানীয়ভাবে কাজ করছি। এজন্য তানসেনের ভাগ্নে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।  

এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, জাসদ নেতার ভাগ্নে আমাদের ৩জন নেতাকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। তবে কেনো কী হয়েছে তা শুনিনি। ওই ৩জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

১৪ দলীয় জোট প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেন বলেন, আওয়ামী লীগের ৩ নেতা জোটের বিরুদ্ধে গিয়ে বিএনপি নেতার ভোট করছে। তারা প্রচারণা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বললে আমার ভাগ্নে নিষেধ করে।  সেসময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডতা হয়েছে কিন্তু মারপিটের অভিযোগ সত্য নয়। 

নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আজমগীর হোসাইন বলেন, মারপিটের ঘটনা শুনে পুলিশ সেখানে গিয়েছিলো। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এবিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লা  নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছে। তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আরও দেখুন

প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে তরুনীকে ধর্ষণ,থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের নলডাঙ্গায় বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেছে রুবেল নামের প্রেমিক ও তার দুই …