নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / নন্দীগ্রামে আলোচিত আখের আলী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

নন্দীগ্রামে আলোচিত আখের আলী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আলোচিত আখের আলী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

এ প্রেস ব্রিফিংয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ২২ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯ টারদিকে নন্দীগ্রাম পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমানের মাধ্যমে সংবাদপ্রাপ্ত হয়ে থানা পুলিশ ওমরপুর সতীশ চন্দ্র কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের নিকট ধানক্ষেতে গিয়ে দেখতে পায় একজন মানুষের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। পাশের বাগানে একটি মোটরসাইকেল ও একটি সচল মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। সেই মোবাইল ফোনের সূত্রধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ৫ মিনিটের মধ্যেই জানা যায় মৃত ব্যক্তির নাম আখের আলী। সে বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের চান্দপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে একজন অপরাধী প্রকৃতির লোক বলে জানা যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে বিগত ২ মাস ধরে কালা মানিক ওরফে বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যক্তি আখের আলীর বাড়িতে থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছিলো। তাদের ২ জনের জেলখানায় করাভোগের সময় পরিচয় এবং বন্ধুত্ব হয়। পরবর্তীতে আরো অনুসন্ধানের মাধ্যমে কালা মানিকের পরিচয় জানা যায় সে নন্দীগ্রাম উপজেলার কৈডালা গ্রামের রমেশ উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া।

ঘটনার দিন ২১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টারদিকে আখের আলী ও বাচ্চু মিয়ার অবস্থান তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনারস্থল এলাকায় পাওয়া যায় এবং হত্যা ঘটনার পর হতে বাচ্চু মিয়া পলাতক থাকায় হত্যা ঘটনার সহিত বাচ্চু মিয়ার সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারি। তথ্যপ্রযুক্তি ও সনাতন পদ্ধতির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলার বোদা থানা এলাকায় বাচ্চু মিয়ার অবস্থান করছে বলে জানতে পারি। সেখানে থানা পুলিশের একটি টিম এক সপ্তাহ অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানতে পারে বোদা থানা এলাকায় এক লোকের বাড়িতে বাচ্চু মিয়া ১০ দিন অবস্থান করে। পরবর্তীতে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে আরো একটি টিম সেখানে প্রেরণ করা হয়।

এরপর ২টিম একত্রিত হয়ে বোদা থানা এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ৭/৮টি পরিবারকে নজরবন্দি করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, বাচ্চু মিয়া ১০ দিন বোদা থানার ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করার পরে সে খাগড়াছড়ি জেলার সদর থানাধীন কলমছড়ি ইউনিয়নের দাঁতকুপিয়া গ্রামে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়। এরপর কালাপাহাড় নামক টিলায় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পর থানায় নিয়ে এসে বর্ণিত ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মাংসকাটা চাপাতি ও একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়।

আসামি বাচ্চু মিয়া আদালতে কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও দেখুন

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের চলমান মৌসুমি জনবল থেকে স্থায়ীকরণ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং সরকার …