বৃহস্পতিবার , মে ২ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / নন্দীগ্রামের সেই অসহায় প্রধান শিক্ষকের পাশে দাঁড়ালেন সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন

নন্দীগ্রামের সেই অসহায় প্রধান শিক্ষকের পাশে দাঁড়ালেন সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
বগুড়ার নন্দীগ্রামের সেই অসহায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পাশে দাঁড়ালেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন। শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কের তাঁকে দেখতে যান। সেসময় তিনি তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তাঁকে জামাকাপড় ও খাদ্যসামগ্রীসহ নগদ অর্থ প্রদান করেন। সেইসাথে তাঁর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন।

সেসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন আদর, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলেকজান্ডার, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম সুমন, ভাটগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক হাসেম আলী, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল রানা ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তারেক প্রমুখ।

নন্দীগ্রামের কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনিতে পড়ে থাকা অসহায় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদকে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। সব হারিয়ে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ৮৮ বছর বয়সি এই বৃদ্ধ খেয়ে না খেয়ে দিন কাটায় কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনির মেঝেতে।

জানা গেছে, উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রামের আব্দুর রশিদ ৭০ দশকে ডিগ্রী ও বিএড সম্পন্ন করে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সাতপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর নিজ উপজেলার বিজরুল উচ্চ বিদ্যালয়, কুন্দারহাট ইনছান আলী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও গুলিয়া কৃষ্ণপুর এমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকুরি করেছেন। এছাড়াও তিনি ৮০ দশকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন।

সেসময় তাঁর সুখের সংসারে ছিলো এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মেয়েকে বিয়ে দেন। কিছুদিন পর তার স্ত্রীও মারা যায়। আব্দুর রশিদ বেশির ভাগ জমিজমা বিক্রয় করে দেয়। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন বগুড়া শহরে। যে জমিজমা অবশিষ্ট ছিলো তা দ্বিতীয় স্ত্রী, মেয়ে ও শাশুড়ি লিখে নেন। ২ বছর আগে বাড়ির জায়গাসহ সেই জমি তাঁরা বিক্রয় করে দেন। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এখন সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তেমন কোথা বলতে পারেন না।

সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের আপদে বিপদে আমি পাশে থাকি। ব্যস্ততার কারণে আব্দুর রশিদ স্যারের পাশে আসতে একটু বিলম্ব হয়েছে। তবুও তাঁর পাশে আছি এবং থাকবো।

আরও দেখুন

হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:মহান আর্ন্তজাতিক পহেলা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক দিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের …