নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / বগুড়া / ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে কবিতা লিখে ফেসবুকে ছাড়ার অভিযোগ রাণীনগর মহিলা কলেজের অধ্যাপককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে কবিতা লিখে ফেসবুকে ছাড়ার অভিযোগ রাণীনগর মহিলা কলেজের অধ্যাপককে কারণ দর্শানোর নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর :
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ও বিবি আয়েশা(রা:) কে নিয়ে কুরুচীপূর্ণ কবিতা লিখে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে ফেসকুকে ছেরে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে নওগাঁর রাণীনগর মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল রউফ মিয়ার বিরুদ্ধে। এঘটনায় অভিযুক্ত কে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই নোটিশ জারি করা হয়।

জানাগেছে,হযরত মুহাম্মদ (সা:) ও বিবি আয়েশা (রা:)কে নিয়ে গত ১৩ জুন একটি কুরুচীপূর্ণ কবিতা লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে। ওই কবিতা ছড়িয়ে পরলে অত্র কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী,শিক্ষার্থী,এলাকার সাধারণ লোকজন ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এঘটনায় ওই কলেজের অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলাম ও শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। এর প্রেক্ষিতে অত্র কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন অভিযুক্ত অধ্যাপককে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির নির্দেশ দেন। 

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী,শিক্ষার্থী,এলাকার জনসাধরণ ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, কলেজে শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত হুমকির মূখে পরেছে এবং এহেন আচরণ চাকুরি বিধির পরিপন্থী দাবি করে তার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবেনা তা নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।এব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল রউফ মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধীকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

কলেজের অধ্যাপক মিরাজুল ইসলাম বলেন,গত ১৩জুন কবিতাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলেও গত দুই দিন কোন প্রভাব পরেনি,কিন্তু বুধবার থেকে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে বেশ কিছু লোকজন কলেজে এসে জরো হয়ে বিচার দাবি করতে থাকে। যেহেতু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো স্পর্সকাতর বিষয় সেহেতু কলেজের সভাপতির নির্দেশে তাকে প্রাতমিকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, এঘটনাটি কলেজের শিক্ষকরা আমাকে জানিয়েছেন এবং এলাকার অনেক লোকজন মোবাইল ফোনে জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করলে সাথে সাথে ওই সহকারী অধ্যাপককে তলব করেছিলাম, কিন্তু তাকে না পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও দেখুন

পুঠিয়ায় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর …