নীড় পাতা / জাতীয় / দেশের বড় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ

দেশের বড় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক:
কয়েক বছরের বিপর্যয়ের ধারা কাটিয়ে অনেকটাই স্থিতিশীলতার পথে হাঁটছে দেশের পুঁজিবাজার। ছোটখাটো সংশোধনের মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেন, মূলধন ও সূচকের পরিমাণ বাড়ছে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে।

এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় এবং ভালো কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। শেষ পর্যন্ত বাজারে স্থিতিশীলতায় দেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, স্কয়ার, সিটি এবং প্রাণ আরএফএলের মতো ৯৫টি গ্রম্নপ এবং কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।

সন্ধ্যায় রাজধানীর নিকুঞ্জের ডিএসই ভবনে এ বৈঠকে অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত থাকবেন। ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি, পরিচালক এবং ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠকে এসব কোম্পানির পুঁজিবাজারে না আসার কারণ ও কোনো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে কি না তা জানতে চাওয়া হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উদ্যোক্তারা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা চান তা নিয়েও মতামত চাওয়া হবে।

বৈঠকের বিষয়ে ডিএসইর কোম্পানি সচিব আসাদুর রহমান বলেন, বিএসইসি পুঁজিবাজারে বিদেশি কোম্পানি আনতে রোড শো করেছে। সেই আদলে বাংলাদেশের ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার জন্য তারা উদ্যোগ নিয়েছেন। তালিকাভুক্ত হতে তাদের সমস্যাগুলো কোথায় তা জেনে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

ডিএসইর এ বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- টি কে গ্রম্নপ, পারটেক্স গ্রম্নপ, ট্রান্সকম গ্রম্নপ, ইনসেপটা, ডিবিএল গ্রম্নপ, আনোয়ার গ্রম্নপ, নাসা গ্রম্নপ, উত্তরা গ্রম্নপ, ওরিয়ন গ্রম্নপ, বসুন্ধরা গ্রম্নপ, বেক্সিমকো গ্রম্নপ এবং কোম্পানি। ঢাকার পর চট্টগ্রাম এবং অন্য শহরভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবে ডিএসই।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এই খাতকে গতিশীল করে তুলেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বহুমুখী উদ্যোগ বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করছে। স্টেক হোল্ডারদের সক্রিয়তাও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে, এই স্থিতিশীলতা ধরে রাখাই পুঁজিবাজারের নীতি-নির্ধারকদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে বড় ভালো কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসা উচিত। দেশের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে পারলে এই খাতের গতি ফিরবে বলেও মনে করছেন তার।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের উন্নয়নে পুঁজিবাজার ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও শেয়ারবাজার ভূমিকা রাখতে পারে। এ খাত থেকে সরকার উন্নয়ন কর্মকান্ডে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগের অভাবে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়ছে না। এই খাতে সুফল পেতে হলে দেশি-বিদেশি বড় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

দেশে অনেক ভালো কোম্পানি রয়েছে, যেগুলো পুঁজিবাজারে এলে বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হবেন বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ। তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, ‘

আরও দেখুন

লালপুরে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর: আসন্ন উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপ নির্বাচনে নাটোরের লালপুরে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ …