নীড় পাতা / স্বাস্থ্য / করোনা / দুর্ভোগ কমেনি পানি বন্দি মানুষের

দুর্ভোগ কমেনি পানি বন্দি মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে।  ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি পানি বন্দি মানুষের। বন্যার পানিতে রাস্তা ঘাট বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পরেছে। শেরপুর সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।  পানিবন্দি লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

বন্যার পানিতে ডুবে জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগের শেষ নেই। শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ির উপ-পরিচালক ড. মুহিত কুমার দে. বলেন, বন্যার পানিতে ৭৫৫ হেক্টর জমির বীজতলা, ৬৫ হেক্টর রোপনকৃত রুপা আমন, ২৭৫ হেক্টর আউশ , ৩৩০ হেক্টর সবজি এবং ১০০ হেক্টর জমির পাট পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা যাবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আর যদি ভারি বর্ষণ না হয় তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের সংকট। সরকারীভাবে যে পরিমানে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন বলেন, সদর উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ যাবত বন্যা কবলিত এলাকায় ৫২ মেট্রিকটন চাল বিতরন করা হয়েছে। বিতরন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও শ্রীবরদী উপজেলায় ২ জন ও নকলা উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

আরও দেখুন

চট্টগ্রামে ”উন্নত সংযোগের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়ন: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক একটি সেমিনারে অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক:চট্টগ্রামে “উন্নত সংযোগের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়ন: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। …