নীড় পাতা / স্বাস্থ্য / করোনা / দালালের ক্ষমতায় পরীক্ষা ছাড়াই করোনা মুক্ত সনদপত্র দেয় খুমেক

দালালের ক্ষমতায় পরীক্ষা ছাড়াই করোনা মুক্ত সনদপত্র দেয় খুমেক

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাঃ

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনা সাসপেক্টেড ফ্লু কর্নার থেকে দালালের হস্তক্ষেপে পরীক্ষা ছাড়াই করোনা মুক্ত সনদপত্র দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (১৭ মে) দুপুরে এসব কর্মকান্ডের জন্য খুমেক হাসপাতালে আরিফুল হোসেন (৩০) এক আউট সোসিং কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও তাকে খুমেক হাসপাতালের আউট সোর্সিংয়ের চাকরী থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

জানা গেছে, রোববার ১১ টার দিকে খুমেক হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক আসে করোনা মুক্তির সনদপত্র নিতে। এসময়ে তাদেরকে করোনামুক্তির সনদ দেওয়ার জন্য প্রত্যেকের কাছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে আরিফুল হোসেন। কয়েক জন শ্রমিক বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। এসময়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক।

সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বলেন, হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়ার পর আউটসোসিং কর্মচারী আরিফুল হোসেন আটক করা হয়। এসময়ে শ্রমিকরা জানান, করোনা মুক্তির সনদে দেওয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের না পরীক্ষা করে করোনা মুক্তির সনদ দিয়েছে। পরে আটক ব্যাক্তিক ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়।

খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ওই আউটসোর্সিং কর্মচারীকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও তাকে খুমেক হাসপাতালের চাকুরী থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মুন্সী রেজা সেকেন্দার বলেন, করোনামুক্ত সনদ আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। কেউ সনদ নিতে আসলে তার শরীরের তাপমাত্র পরীক্ষা করে করোনার কোন উপসর্গ না পাওয়া পেলে তা লিখে দেওয়া হয়। এটা করোনামুক্তির সনদপত্র। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের কিছু আউটসোসিং কর্মচারী ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা করোনার সনদ নিয়ে বানিজ্য শুরু করেছে। তারা এটাকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। সনদ নিতে আসাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তারা। তারা খুবই কৌশলে এই কাজটা করছে। হাসপাতালে ৩০২ জন আউটসোসিং কর্মচারী ও ৯৪ জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের একাংশই মূলত এসব কাজে লিপ্ত। এখানে বাইরের কোন দালাল নেই। এরাই মূল দালাল। তারা হাসপাতাল পরিষ্কার পরিছন্নতার কাজ বাদ দিয়ে এসব করে বেড়াই।

তাদের উৎপাত কমাতে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি আশার পর থেকে তাদেরকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। আমি ইতোমধ্যে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থ্যার কাছে এবিষয়ে চিঠি দিয়েছি। তারা যথাযত পদক্ষেপ নিবেন বলে নারদবার্তাকে আশ্বাস্ত করেছেন।

আরও দেখুন

লালপুরে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর: আসন্ন উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপ নির্বাচনে নাটোরের লালপুরে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ …