নীড় পাতা / জাতীয় / ঢাকা-নয়াদিল্লি সংলাপে ঘুচবে মতভেদ

ঢাকা-নয়াদিল্লি সংলাপে ঘুচবে মতভেদ

নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চ্যালেঞ্জ থাকলেও পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা যাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে দৃঢ় ও পরীক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে দুদেশ আগেও সমস্যা নিরসনে যথেষ্ট সফল হয়েছে। ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যকার সংলাপে সব মতভেদ ঘুচে যাবে। ভারত সফরের একদিন আগে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আজ ভারত সফর যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ৫-৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ দিনের এ রাষ্ট্রীয় সফরে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে। তার এ সফরকে সামনে রেখে টেলিভিশন সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন এএনআইয়ের স্মিতা প্রকাশ। রোববার সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ভারত সরকারের মৈত্রী টিকাদান কর্মসূচিরও প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সমঝোতা ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে ভারত সরকারের করোনাপ্রতিরোধী টিকা সরবরাহ কার্যক্রম এক বিশেষ প্রশংসিত উদ্যোগ। এমন যথার্থ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদির প্রজ্ঞা প্রমাণিত হয়। ভারতকে পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, নয়াদিল্লি প্রয়োজনে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ১৯৭১ সালে এবং বিভিন্ন সময় দেশটি এগিয়ে আসে। তিনি আরও বলেন, দুদেশের জনগণের স্বার্থেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করা উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা সব সময় স্মরণ করি। এমনকি ১৯৭৫ সালে যখন আমার পরিবারের সব সদস্যকে হারালাম তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী (ইন্দিরা গান্ধী) আমাদের ভারতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এছাড়া আমরা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং আমি সব সময় আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বকে গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেই।

সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোর পাশাপাশি তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গটি আসে। তিস্তার পানি বণ্টনসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, এটি এখনও ঝুলে আছে। ভারত থেকে আমাদের এখানে পানি আসে, তাই তাদের আরও উদারতা দেখাতে হবে। এতে উভয় দেশই লাভবান হবে। পানির অভাবে কখনও কখনও আমাদের জনগণ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে তিস্তায় পানি না পেয়ে আমরা ফসল রোপণ করতে পারি না। আরও নানা সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে বিষয়টির একটি সমাধান হওয়া উচিত। আমরা দেখেছি, এ সংকটের সমাধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ রয়েছে। তবে সমস্যাটি ভারতেই রয়ে গেছে। আশা করি এর সমাধান হবে এবং সেটি হওয়া উচিত।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জানান, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কিনা, সে ব্যাপারটি তার নিজের (জয়) ও দেশের মানুষের চাওয়ার ওপর নির্ভর করছে। জয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। সুতরাং রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার ব্যাপারটা তার ওপরই নির্ভর করছে। জয় দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তার পরামর্শ অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। স্যাটেলাইট, সাবমেরিন কেব?ল কিংবা কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মতো এত সব ডিজিটাল ব্যবস্থা তার পরামর্শেই নেওয়া হয়েছে। ও আমাকে সহযোগিতা করছে। তবে ও কখনোই দল কিংবা মন্ত্রণালয়ে কোনো পদ পাওয়ার কথা ভাবেনি। এক সমাবেশে জয়কে দলীয় একটি পদে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কর্মীদের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি উঠেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দলীয় সম্মেলনে পর্যন্ত তার জন্য জোরালো দাবি উঠেছিল। তখন আমি ওকে বললাম, মাইক্রোফোনের কাছে যাও এবং বল তুমি কী চাও। ও তাই করল। ও বলল, ‘আমি এ মুহূর্তে দলে কোনো অবস্থান চাই না। বরং যারা এখানে কাজ করছেন, তাদের এ পদ পাওয়া উচিত। আমি কেন একটা পদ দখল করে রাখব? আমি আমার মায়ের সঙ্গে আছি, তাকে সহযোগিতা করছি ও দেশের জন্য কাজ করছি। আমি তা করে যাব।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির বিষয়টি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নয়।

ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য রাখাসংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত পরিষ্কার-‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’

আরও দেখুন

বাগাতিপাড়ায় সেরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উপলক্ষে উপজেলা পর্যায়ে সেরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত …